দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : চাঁদাবাজ-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মাঠে র্যাব
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চলমান মজুতদারি ও পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব বলছে, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে, যারা পণ্য মজুত করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবে, তাদের পরিচয় যাই হোক শনাক্ত করে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনার জন্য প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দিয়েছে র্যাব। আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এলিট ফোর্স র্যাব সবসময় এ ধরনের জনসম্পৃক্ত ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আজ থেকে সবজিসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও মজুতদারি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নামে-বেনামে চাঁদাবাজদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে, চাঁদাবাজির কারণে অনিয়ন্ত্রিত ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনায় আমাদের প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা নামে-বেনামে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমান্ডার মঈন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এই ধরনের মজুতদার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সামনে রমজান। রমজানে যেন নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজ মজুতদার ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে তাদেরও শনাক্ত করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ইচ্ছেকৃত কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবে, এখন করছে তাদের শনাক্ত করে কঠোর ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সে যেই হোক, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না, কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সামনে রমজান, আমাদের মাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। নিত্যপণ্যের সরকারি মূল্যের বেশি দামে কেউ যদি পণ্য বিক্রি করে বা মজুত করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করে, তাদের শনাক্ত করে মোবাইল কোর্ট কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।