বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

নাম পরিবর্তন করেও হলো না রক্ষা, অবশেষে গ্রেপ্তার

নাম পরিবর্তন করেও হলো না রক্ষা, অবশেষে গ্রেপ্তার

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : নাম পরিবর্তন করেও হলো না রক্ষা। অবশেষে ২২ বছর পর সেই হত্যাকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আলমঈন।  গ্রেপ্তার হওয়া হত্যাকারীর নাম শুক্কুর আলী। শুক্কুর আলী ১০ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে সে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়। সে আনসার সদস্য ফজলুল হত্যাকাণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩ বছর কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। শুক্কুর আলী চট্টগ্রামসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ ও নাম পরিবর্তন করে কিছুদিন পর পর তার অবস্থান পরিবর্তন করত। এর আগে ২০০২ সালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও পুলিশ সদস্যকে হত্যাচেষ্টার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সন্ত্রাসী শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল ওরফে সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলন, বিগত ২০০২ সালের ১২ মার্চ রাজধানী মোহাম্মদপুরের শ্যামলী এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন আনসার সদস্য ফজলুল হক গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া এ ঘটনায়  একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আনসার সদস্য ফজলুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল আকমান হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসী শুক্কুর আলী ওরফে সোহেলসহ ৩ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। এরপরে শুক্কুরসহ গ্রেপ্তার বাকি আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার আত্মগোপনে চলে যায়। তিনি বলেন, এদিকে মামলার তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার বিচার কাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আবদুল জলিল ফরাজীকে হত্যাচেষ্টার দায়ে আসামি শুক্কুর আলী ওরফে সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।তিনি আরও বলেন, এ মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের বিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শুক্কুর আলীকে গ্রেপ্তার করে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন