শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

খোলাহাটি কলেজ নবীন বরণ ও দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

খোলাহাটি কলেজ নবীন বরণ ও দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

সোহেল সানী: এক কথায় বলা যায় পিঠাপুলি যেন বিলুপ্তির পথে হাঁটছে। নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাওয়া পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে খোলাহাটি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব। আর এই নবীন বরন ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো কলেজ চত্তর। আজ সোমবার সকালে কলেজে চত্বরে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী ভলান্টিয়ার এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারজানা রহমান শিমলা, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আমিরুল মোমিনীন, রুকশানা বারি রুকু ও পার্বতীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দীপেশ রায় সিংহ। পিঠা উৎসবে নানা স্বাদের পিঠা কলেজ চত্তর জুড়ে ১৫টি স্টলে সাজানো ছিল। কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর এসব স্টলে জামাই পিঠা, লিছু পিঠা, মালপোয়া, ঝিনুক পিঠা, সুন্দরী কমলা, ননিয়া পিঠা, তেল পিঠা, বিসকুট পিঠা, কদম পুলি, বোজড়া পিঠা, কাকড়া পিঠা, তানপড়া পুরি, শাহি ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, দুধ পুলি, গাজর পিঠা, গোলাপ পিঠা, সবজি পিঠা, গাজর হালুয়া, গাজরের লাড্ডু, ভাজা কুলি, পঞ্চবাহার, সেমাই পিঠা, কস্তুরি পিঠা, রঙবাহার, জামদানি পিঠা, মিষ্টি বড়া, মিষ্টি পুলি, ভেজানো নকশি, নকশি দোপাটি, দুধ চিতই, ঝাল পুলি, গরুর মাংসের সমুচা, মুরগির মাংসের সমুচা, ছানার পুলি, পাটিসাপটা, নারিকেলের তিল পুলি, ক্ষীরে ভরা পাটিসাপটা, সুজির পোয়া পিঠা, নারিকেলের নাড়ু, নকশি পিঠা, কলা পিঠাসহ প্রায় ১৫০ রকমের সুস্বাদু পিঠা খোলাহাটি কলেজ চত্বর সবার নজর কাড়ে। খোলাহাটি কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের তৈরি দেড় শতাধিক পিঠা নিয়ে ১৫ স্টলে সাজানো হয়েছে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বাহারি রকমের পিঠা রয়েছে। উৎসবে অংশগ্রহণ করা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী স্বর্ণা বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যটাকে পিঠা উৎসবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। নবীন ও পিঠা উৎসবে এসে খুশি দর্শনার্থীরাও। বেশ ভালোই লাগছে। কলেজের এইচএসসি বাণিজ্য বিভাগের হনুফা খানতু নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতি বছর এমন আয়োজন করা প্রয়োজন। এসব পিঠা ধীরে ধীরে হারাতে বসেছে। পিঠা উৎসবে নানাবাড়ি, দাদাবাড়ির সেই গ্রামের পিঠা খাওয়ার আমেজ মনে পড়ছে। খুব সুন্দর আয়োজন। খোলাহাটি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার বিভাগের প্রভাষক মোঃ মতিউর রহমান বাবুল বলেন, পিঠা উৎসবের মাধ্যমে অনেকেই ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে।
খোলাহাটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মবিদুল ইসলাম বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। এবারই প্রথম পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। মূলত শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ ঐতিহ্য বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। পিঠা উৎসবটি সবাই দারুণভাবে উপভোগ করেছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন