সুন্দরগঞ্জে সরকারি বই বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আটক
গাইবান্ধাঃ জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভ্যানে করে মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বই বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে জনতা। ১৬ ফ্রেরুয়ারী শক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড়ে বইয়ের বস্তাসহ ভ্যানটি আটকে করে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বইগুলো জব্দ করে এবং যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখে। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জব্দকৃত বইগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ফজলুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মাধ্যমিক শাখার বিভিন্ন শ্রেণির বই। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার দিকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ভ্যানে করে বইগুলি বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জনগণ তা আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড় থেকে বইগুলো উদ্ধার করে। পরে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে একটি রুমে জব্দকৃত বইগুলো সিলগালা করে রাখে।প্রত্যক্ষদর্শী মমিন মিয়া বলেন, প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি এক ভ্যান বই সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সাধারণ জনগণ টের পেয়ে ভ্যানটি আটক করে। ভ্যানচালককে বইগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, চণ্ডীপুর ফজলুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ মিয়া বইগুলো বিক্রির জন্য তাঁর ভ্যান ভাড়া করছেন। পরে লোকজন থানায় খবর দিলে কঞ্চিপাড়া ফাঁড়ি থেকে পুলিশ এসে বইগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি বই বিক্রির বিষয়ে কিছু জানি না। আমার প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজেই এগুলো গায়ের জোরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মতামত নাই।’ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলার রহমান বলেন, ‘পুরাতন বইগুলো বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নাকি বইগুলো প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমি এইটুকু শুধু শুনছি। তবে বিক্রির জন্য যে রেজল্যুশন করা লাগে, তা করা হয় নাই।’সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলের উন্নয়নকাজ চলছে। টাকারও দরকার, তাই বইগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন আটক করে। বইগুলো এখন প্রতিষ্ঠানেই আছে। তবে বই বিক্রির বিষয়টি সভাপতি ও অধ্যক্ষ স্যার জানেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ‘জনতার হাতে আটক বইগুলো স্টোরেজ করতে বলেছি।