শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই
নন্দীগ্রাম (বগুড়া)  : বগুড়া জেলার শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এখন এই উপজেলায় পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই কাজ। এবার অবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। আর বোরো ধানের বাজারমূল্যও ভালো থাকায় কৃষকরা লাভের অংক গুণছে। এই উপজেলার বিভিন্ন মাঠের বোরো ধান কাটা-মাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে আরো প্রায় ১৫-২০দিন সময় লাগবে। এরমধ্যে যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষকরা ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাঠের সোনালী ফসল বোরো ধান কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারছে কৃষকরা। তবুও চলতি মাসের আগামীদিনগুলো কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। কারণ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। যে ক্ষতি অপূরণীয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯ হাজার ২৮৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এতে ধান উৎপাদন হতে পারে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন। এই উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করলেও মিনিকেট ও কাটারিভোগ ধানের চাষাবাদ বেশি করে থাকে। এবারো এর ব্যত্যয় হয়নি। আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই কাজ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায় ধান কাটার শ্রমিকরা কাস্তে হাতে নিয়ে তীব্র গরম উপেক্ষা করে বোরো ধান কাটার কাজ করছে। এই ধান কাটা-মাড়াই কাজ একরকম উৎসবে রূপ নিয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলো থেকে অসংখ্য শ্রমিক এসেছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই কাজ করতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, আল্লাহর রহমতে এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে। বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরাও কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছি। উপজেলার রণবাঘা গ্রামের আদর্শ কৃষক বেলাল হোসেন  জানান, আমাদের এলাকায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চলছে। ধানের বর্তমান বাজারমূল্য ভালো রয়েছে। আড়তদাররা যেনো ধানের বাজারমূল্য কমাতে সিন্ডিকেট করতে না পারে এ বিষয়ে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখতে হবে। মিনিকেট জাতের ধান। ১২৫০-১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের ধানের বাজারদরও ভালো রয়েছে। বোরো ধানের চাষাবাদে প্রতি বিঘা জমিতে ১২-১৩ হাজার টাকা ব্যয় হলেও ২০-২৫ হাজার টাকার ধান পাওয়া যায়। বোরো ধানের চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি লাভজনক। তাই কৃষকরা বছরে ৩বার ধানের চাষাবাদ করলেও বোরো ধানের চাষাবাদে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব থাকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ধানের বেপারিরা নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ধান ক্রয় করে নিয়ে যায়। কারণ নন্দীগ্রাম উপজেলার ধান-চালের মান খুব ভালো।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন