১১ বছরেরও শেষ হয়নি সুন্দরগঞ্জ চার পুলিশ হত্যার বিচারিক কার্যক্রম
গাইবান্ধাঃ জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নৃশংসভাবে হত্যা করা ৪ পুলিশের স্মরণে তাঁদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পুষ্পস্তবক করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ (বিপিএম সেবা), থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি ও বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল আজিজ। পরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন জামে মসজিদে নিহত চার পুলিশ সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ কোর্টের পিপি ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, মামলাটি এখন সর্বশেষ অবস্থায় আছে। এরমধ্যে মামলার আইওকে কল করা হবে। এ মামলায় মোট আসামি ২৩৫ জন। জামিনে আছেন ২১৫ জন। মারা গেছেন ১১ জন। পালাতক আছেন ৪ জন। ২০১৩ সালে এই দিনে (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ উপজেলায় হরতাল ডাকা হয়েছিল। সকাল থেকে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি, বেলকা, দহবন্দ, হরিপুর, বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সাঈদী অনুসারীরা।এদিন দুপুরে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পরই সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয় সাঈদী অনুসারীদের নারকীয় তাণ্ডব। তারা উপরে ফেলে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের রেল লাইন, অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়। এরপর তারা বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা চার পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।