খানসামায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যকে কুপিয়ে জখম; থানায় অভিযোগ
মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; দিনাজপুরের খানসামায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমিনুল ইসলাম (৪৫) নামের এক আনসার ভিডিপি সদস্যকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে লিমন ইসলাম (৩) ও আজিজুল ইসলাম আকাসু (২৮) নামের দুই আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ দুই ভাই একই এলাকার নুরুল হক (পাগলা’র) ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টম্বর) বেলা এগারটায় উপজেলার খানসামা থানাধীন ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের সহজপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আনসার ভিডিপি সদস্য মমিনুল ইসলাম (৫০) বর্তমানে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এবং এই ঘটনায় মমিনুর ইসলাম নিজেই বাদী হয়ে খানসামা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত লিমন ইসলাম ব্র্যাক সমিতি থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করেন না যার কারণে ঐ এলাকার অন্য কোন ব্যক্তিকে সেই ব্র্যাক সমিতি লোন দিচ্ছে না মর্মে অভিযুক্ত লিমন ইসলামের ভাবী জান্নাতুন ও প্রতিবেশী মালেকা বানুসহ উক্ত ব্যাপারে ভিকটিমের বাড়ীর সামনে রাস্তায় আলোচনা করেছিল সেই সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে ভিকটম আনসার ভিডিপি সদস্য মমিনুল ইসলাম বলেন ‘তোমরা এইলা কিসের আলাপ করেছেন..? ঐ ছেলেটা সুবিধার না। ওর বিষয়ে কিছু বলেন না’। এই কথা বলার পর পরই হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে লিমন এসে বলে তোমরা মোর বিষয়ে কি কছেন? মোর গীবত করেছেন..! তখন মমিনুল ইসলাম বলেন মুই তোর বিষয়ে কিচ্ছু কও নাই। এমরা আলাপ করেছে মুই বাঁধা করছো। কিন্তু তখনও লিমন মমিনুলের কোনো কথা না শুনিয়ায় কাঠ ও ছুরি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী ও মমিনুলের পরিবার গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে বিষয়ে লিমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ঘটনা যাইহোক আমি এত ভালো করি শুনি নাই। ঠিক আছে! শুনলাম যে মারামারি হইছে। কেন মারামারি হইছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এতো কিছু শুনি নাই। আমি দিনাজপুরে আসছি।’
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মারামারি ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমার নলেজ আছে। আমি এখন হাসপাতালে যাচ্ছি।’
এই বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।