রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সংসার এবং ইন্ডাস্ট্রি দু’ক্ষেত্রেই একা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি: ঋতুপর্ণা

সংসার এবং ইন্ডাস্ট্রি দু’ক্ষেত্রেই একা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি: ঋতুপর্ণা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ ক্যারিয়ার তার। তিনি নারী দিবসে নিজের মনে কথা খুলে ধরেছেন ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে। কথা বলেন, সংসার এবং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, সংসার আর কাজ দুটোতেই বিশ্বাস করি। ইন্ডাস্ট্রিতেও দীর্ঘ দিন ধরে একা যুদ্ধ করছি। বড় প্রযোজনা সংস্থারা যে আমার সঙ্গে আছে, এমনও নয়। আমি নিজেই নিজের জায়গা তৈরি করেছি। নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। আমি আমার সবটা দিয়ে কাজ করি। কান্না মুছে হাসি ফিরিয়ে আনি। আমি বৃদ্ধি করতে না পারি, সৃষ্টি তো করি… না হলে থমকে যাব! তিনি বলেন,  আমি এখন মর্যাদা নিয়ে খুব ভাবি। মানুষের কাছে সব কিছু থাকলেও সে মর্যাদাহীন হলে বিপদ। আমি মাটিতে পড়লে নিজেকেই নিজে উঠিয়ে নিয়ে চলি। তিনি আরও বলেন, কোনও রকম ভণিতা না করেই বলতে পারি নারীরা অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে সামলাতে পারে। ছেলেরা পারে না তা নয়। তবে মেয়েরা এ ক্ষেত্রে একটু এগিয়ে। এই অভিনেত্রী বলেন, আমার ঠাকুমাকেই দেখেছি, রান্নাঘর থেকে বাইরের জগৎ– একা হাতে সামলাতে। আমি তো ওঁর হাতেই মানুষ। বাড়িতে তখন আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা, ঠাকুমা ঢালাও বিছানা করে এক হাঁড়িতে তাঁদের যেমন খাওয়াত, তেমনি স্নিকার্স পরে পিঠে ব্যাগ নিয়ে বেড়াতে যেত। স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও ছিল না ঠাকুমার। কিন্তু আমার মনে হয় মেয়ে হিসেবে এমন সহজাত ক্ষমতা ছিল যে একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে পারত। এই ক্ষমতা কিন্তু সময় বা পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয় না। ভেতরেই থাকে। আমি কখন আঁকার স্কুলে যাব, কখন পড়ব সব নখদর্পণে। ভোর ৬টায় আমায় ডেকে দিয়ে বলত, “ওঠ! কখন পড়বি, ন’টা তো বেজে গেল। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, নারীদের নিজের সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। আমি যদি অসহায়, দুর্বল হিসেবে সকলের সামনে নিজেকে জাহির করি, লোকেও ওই চোখেই আমাকে দেখবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন