শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৮

মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৮

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো আটজন নিখোঁজ আছেন। তাদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং শহরের নিউটাউন এলাকার এক পরিবারের তিনজন আছেন। ঘটনার পর রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সুবর্ণ বেগম এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা, নৌ-থানা পুলিশ। নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমী (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫)। অন্য আরেকটি পরিবারের নিখোঁজরা হলেন- শহরের নিউটাউন এলাকার বেলাল দে, তার স্ত্রী রুপা দে (৩৫) ও মেয়ে আরাধ্য। নিখোঁজ আরেকজনের নাম আনিকা আক্তার। ১৮ বছর বয়সী আনিকা নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দারিয়াকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে। নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া জানান, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকেলে ব্রিজের নিচে ঘুরতে যায়। পরে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ২০ যাত্রী নিয়ে একটি ভ্রমণ ট্রলার ডুবে যায়। পরে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও আটজন নিখোঁজ আছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধার কর্মীরা কাজ করতে পারে না পারায় উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এলে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। ভৈরব নৌ থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন