সিলেট ওসমানী হাসপাতালে অবৈধ নিয়োগ : সাবেক উপাচার্যসহ আসামি ৫৮
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে সরকারের সাড়ে ৫ কোটি ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার নঈমুল হকসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. ইসলাইল হোসেন ইমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুদকের সিলেট বিভাগীয় অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন সাবেক উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) ফাহিমা খানম চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথ, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) মো. গোলাম সরোয়ার, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (বাজেট) শমসের রাসেল, পাবলিক রিলেশন অফিসার গাজী মো. ফারাজ, প্রকিউরমেন্ট অফিসার আব্দুল মুনিম, সেকশন অফিসার রিংকু দাস, আতিক শাহরিয়ার ধ্রুব, খালেদা চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌসী, চৌধুরী রোম্মান আহমদ, সাজু ইবনে হান্নান খান, বেলাল উদ্দিন ও লোকমান আহমেদ, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা চৌধুরী জুলফিকার খালেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হালিমা বেগম, সুরঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার, মো. তৌফিক মিয়া, মো. রহমত আলী, এনি সরকার, দেবশ্রী রানী দাস, বিপুল কান্তি দাস, আব্দুল আজিজ, মো. মুহিতুর রহমান, আলী ফজল মো. কাওছার, নাহিমা আক্তার, মো. আব্দুল মজিদ, হুমায়ুন কবির জুয়েল, নাজমুস শামস তুষার, তানভীর আহমদ, ইয়ামিন হোসেন, রাধা রানী রায় শর্মী, তারেক মো. রেদোয়ান, অনিন্দিতা বিশ্বাস, রাজীব বৈদ্য, সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আব্দুস সবুর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মবরুর মিয়া, তামান্না ফিরোজী, দিব্য জ্যেতিসী, মিস আলেয়া নেছা জনি, মুমিনুর রহমান, রবিউল আলম বকুল ও মো. কয়েছ আহমদ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর লুৎফা বেগম, রুহুল আমিন, জাহিদ হোসেন, রোমানা সুলতানা, আনিছুর রহমান, রাফি ইব্রাহিম, মো. আব্দুস সাত্তার ও মোছা. সুলাতানা বেগম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ব্যক্তিগতভাবে ও অন্যদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যমান বিধিবিধান ও আইনকানুন যথাযথভাবে অনুসরণ না করে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯ টাকা টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।