পলাশবাড়ীতে ঈদের আগেই বেড়েছে আলু পিয়াজসহ মসলার ঝাঁজ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ ঈদের বাকি আর মাত্র ২দিন। এরইমধ্যে জেলার পলাশবাড়ী পৌর বাজারে ঈদ পুজি করে বাজারেআলু পিয়াজসহ মসলার ঝাঁজ বেড়েই চলছে। রমজানের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মসলার ঝাঁজও বাড়তে শুরু করে পাল্লা দিয়ে। তবে গেল সপ্তাহে জিরার দাম কমলেও অন্যান্য মসলার দাম লাগামহীন। এদিকে ঈদের আগেই মসলার দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন। প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে রান্নার নানান মসলা। ঈদের মাংসে অপরিহার্য অতি পরিচিত এক মসলা এলাচের দাম বেড়েই চলছে, হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যান্য মসলার দামও নাগালের বাইরে।সোমবার পলাশবাড়ী পৌর বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মসলার পাইকারি দোকানদার নজরুল বলেন, ‘তিন মাস আগে যে এলাচের কেজি ছিল দেড় হাজার টাকা তা এখন বেড়ে হয়েছে ২৬০০; আর যেটা ১৪০০ ছিল, তার কেজি এখন ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা। আরেকটা এলাচ ছিল আড়াই হাজার টাকা কেজি, সেটা এখন হয়েছে ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে এক-দেড় হাজার টাকা দাম বেড়েছে। কালো মরিচ, কাঠবাদাম, সাদা মরিচ এগুলো কেজিপ্রতি এক-দেড়শ টাকা বেড়েছে। পেস্তাবাদামে বেড়েছে ৬০ টাকা। এক দিনে দুইশ টাকার বেশি বেড়েছে কাজুবাদামের দাম। মসলার মধ্যে শুধু জিরাসহ দু-একটার দাম কমেছে। সপ্তাহখানেক আগের হাজার টাকার জিরা এখন ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।মসলা ব্যবসায়ী মনসুর আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সরবরাহ কম চাহিদা বেশি হওয়ায় এলাচের দাম বেড়েছে। যদি আমদানি বাড়ে তাহলেই দাম কমবে।’
মসলা কিনতে আসেন আজাদুল। তিনি বলেন, মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে অনেক দোকানেই মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়নি।
বাজারে এলাচের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯৫০ টাকা পর্যন্ত। গত রমজানে যে এলাচ ১৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি ছিল, এবার তা আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সেইসঙ্গে দারুচিনি, গোলমরিচ, সাদামরিচ, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়, কাজুবাদাম ১ হাজার ১৮০ এবং পেস্তাবাদাম ৩০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগেও ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার কালো গোলমরিচ ৮২০ টাকা, সাদামরিচ ১ হাজার ২২০ টাকা, আলুবোখারা ৫৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা বেড়ে ৫২০ থেকে ৫৮০ টাকায়; ৪০০ টাকার কিশমিশ ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকায় এবং ১ হাজার ৫০০ টাকার লবঙ্গ ১৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু দোকানে এর বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মূল্য তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী পৌর বাজারের মসলা ব্যবসায়ী রফিক বলেন, ‘মূল্য তালিকা আছে, কিন্তু একটু ব্যস্ত আছি। এ জন্য দেখাতে পারছি না।’তালিকা দোকানের সামনে উন্মুক্ত রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দোকানে আপাতত সবাই ব্যস্ত। কাজ করতে গিয়ে হয়তো কর্মচারীরা অন্য জায়গায় রেখেছে।’
মাছের বাজারে চড়তি দামে সব ধরনের মাছ বিক্রী হচ্ছে। বয়লার লেয়ার পাকিস্থানী মুরগীর দাম বেশি দামে বিত্রী হচ্ছে তবে ডিমের বাজার নাগালের মধ্যে।