রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

নড়াইলে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণার’ উদ্বোধন

নড়াইলে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণার’ উদ্বোধন

ফরহাদ খান, নড়াইল: নড়াইলে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরের গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ডাক্তার সুব্রত হালদার, গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক শিখা রানী মল্লিক, সহকারী শিক্ষক তাপস পাঠক, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য দুলাল চন্দ্র দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দুলাল চন্দ্র গাইনসহ শিক্ষার্থীরা।

সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে ১০ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত সময়টা কৈশোরকাল। এ বয়সে হরমোন পরিবর্তন হয়। এ কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ওজন ও উচ্চতা বাড়ে, হাড়ের গঠন হয়, পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এ সময়ে তাদের ‘গাইড’ করার প্রয়োজন হয়। কৈশোরকালটা সামলে নিতে না পেরে অনেকে বিপথে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে ধুমপানে আসক্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার অভাব দেখা দেয়। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণারের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে জানতে পারবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। চিকিৎসাসেবা প্রদান করা।

এ কার্যক্রম সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম আরো বলেন, নড়াইলের তিনটি উপজেলায় শিক্ষার্থীবহুল তিনটি করে নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নড়াইল সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়সহ জেলার মোট ১১টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। এছাড়া কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে এ কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে ঝরেপড়া শিশু এবং অল্প বয়সে বিয়ের শিকার ছেলেমেয়েরাও এর সুফল পাবে। এ কার্যক্রম চালু করতে রোজা শুরুর দু’দিন আগে প্রথমে লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এরপর সদরের গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভালো সাড়া পেয়েছি। ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণার’ কার্যক্রম আমার নিজস্ব উদ্যোগে করা হয়েছে। এর আগে চাঁদপুর জেলায় এ কার্যক্রম চালু করে এসেছি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন