দিনাজপুরে শ্যালিকা হত্যার দায়ে দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় শ্যালিকা কে হত্যার দায়ে দুলাভাইকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত ।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে দিনাজপুর অতিরিক্ত ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সাদিয়া সুলতানা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল্লাহ ওরফে শুভ(২৬) কুমিল্লা জেলার পিকুলিয়া শিবপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত হোসেন।
নিহত মর্জিনা আক্তার কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর গ্রামের আমিনুর রশিদের স্ত্রী। চাকুরীর সুবাদে চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন আমিনুর-মর্জিনা দম্পতি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাকুরীর সুবাদে আমিনুর রশিদ তার স্ত্রী ও একমাত্র শ্যালিকা ফাতেমা আক্তারসহ চিরিরবন্দর উপজেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে শুভর সাথে মুঠোফোনে নিহতের বোন ফাতেমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালের জুন মাসের আব্দুল্লাহর সাথে ফাতেমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে ফাতেমা আক্তার স্বামী আব্দুল্লাহর নিজ বাড়ি কুমিল্লাতে গিয়ে দেখেন সেখানে আব্দুল্লাহর আরও একজন স্ত্রী ও সন্তান আছেন। পরে ফাতেমা আক্তার দিনাজপুরে ফিরে আসেন এবং স্বামীকে তালাক দেন। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আব্দুল্লাহ দিনাজপুরে আসেন এবং আমিনুর রশিদের বাসায় প্রবেশ করে স্ত্রী ফাতেমা ও তাঁর বড় বোন মর্জিনা আক্তারকে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয়দের কাছে আটক হন। এ ঘটনায় মর্জিনা আত্তারের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত হন ফাতেমা আক্তার। পরে নিহতের স্বামী আমিনুর রশিদ বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে শুভর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামের উপস্থিতিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রনজিৎ কুমার এবং আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খলিলুর রহমান।