জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরবেলা হাফেজ নেছার উদ্দিনের স্ত্রী তার সন্তানদের কাঁঠাল ও দুপুরের খাবার খাওয়ান। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করা উচ্ছিষ্ট খেয়ে ৯টি মুরগী সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। পরে ছেলে-মেয়েকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ছেলে আ: রহমান (২) মারা যায়। মেয়ে খাদিজা আক্তারকে (৪) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় রতন মেম্বার বলেন, আমি শুনেছি খাবার খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি তাঁরা মারা গেছে। পুলিশ প্রশাসন এসেছে। অভিভাবকের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে দাফন করার জন্য বলা হয়েছে।
মৃত শিশুদের বাবা নেছার উদ্দিন বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমি কিভাবে জানবো? আমি এসে ডাক্তার কাছে নিয়ে গেছি। আপনি যা শুনছেন, আমি তা শুনেছি। আমি দেখি নাই, আমি কিভাবে আর কি বলবো!
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যু কী কারণে হয়েছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।