মঙ্গলবার, ৯ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রাজারহাটে বিদ্যানন্দ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

রাজারহাটে বিদ্যানন্দ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ
 রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। টাকা ছাড়া মিলেনা কোন সেবা। কেউ প্রতিবাদ করলেই হয়রানির শিকার হতে হয় তাকে। বলছি বিদ্যানন্দ ভূমি কর্মকর্তা আলমগীরের কথা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। হাট থেকে শুরু করে ঘাট পর্যন্ত তার প্রভাব সবখানে। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের চন্দ্রপাড়া গ্রামের আজহার গং এর সাথে একই ওয়াডের খালেক গংয়ের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ থেকে চলে আসছে। দাগ নং ১৬৩,২১৬,৩৭৯ দাগে মোট ৮৪ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছে খালেক গং। বিষয় টি আদালতে বিচারকাজ চলমান,বিজ্ঞ আদালত চন্দ্রপাড়ার ভোগ দখলীয় অবস্থা জানার জন্য সর্ব শেষ কার দখলে আছে তা জানার জন্য  বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর কে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিদ্যানন্দের ভূমি কর্মকর্তা স্বশরীরে ঘটনা স্থলে না এসে অভিযোগকারীর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচন গ্রহণ করে একপাক্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে অভিযোগ কারী আব্দুল খালেক বলেন দাগের ১৬৩,২১৬,৩৭৯ দাগে মোট ৮৪ শতাংশ জমি আমার পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখল করে আসছি। গত ২১/০৫/২০২৪ ইং। তারিখে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া। তিনি ঘটনাস্থলে আসেনিনি। বরং আমি তার সাথে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি তা অস্বীকার করলে তিনি তখন মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করেন।আমি নিরুপায় হয়ে তার এই মনগড়া প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা এনে রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভূমি কর্মকর্তা আলমগীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেই। ডাংরা বাজারের একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন যে,এই আলমগীর ডাংরা বাজারে বানিজ্য করেছে। অত্র বাজারের ব্যবসায়ী,কাইয়ুম সরকার,আব্দুল করিম,জামাল সরকার সহ অসংখ্য জনের নিকট ঘুষ নিয়ে বাজারে ঘর করতে দিয়েছে। এছাড়াও ডাংরা বাজারের চৌরাস্তা মোড় হতে হাজীর বাড়ির যাওয়া রাস্তাটি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তাটি দখল করে। তৎকালীন এসিল্যান্ড আকলিমা বেগম নিজে এসে জায়গা টি পরিদর্শন করে অফিসের নিযুক্ত সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে প্রতিবন্ধী স্কুলের ভিতর লাল ফ্লাগ ঝুলিয়ে খুটি বসান। আকলিমা বেগমের বদলির পরে ওখানে কোন রকম লাল খুটির হদিস নাই। স্থানীয় সচেতন এক নাগরিক বলেন কেন ওই ঝান্টি টা নাই,আলমগীর ঘুষ খেয়ে নীরব আছেন।
বিদ্যানন্দ ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়েই তদন্ত করেছি,যা সত্য তাই প্রতিবেদন দিয়েছি।এক তরফা দেই আর দুই তরফা দেই ওদের আমার প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য মনে না হলে নারাজি করতে পারেন।এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এর আগেও তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও পেয়েছি,দেখি বিষয় টা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খাদিজা বেগম বলেন,আবেদনকারীর সাথে কথা বলে কাগজ পত্র দেখে জমিটা তার কিনা তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন