প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতিনিধিদল
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন।
এর কিছুক্ষণ আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ যমুনায় প্রবেশ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিতরে আলোচনা চলছে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চান। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া কারো সঙ্গে তারা আলোচনা করতে রাজি নন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। আমরা নানা জনের আশ্বাস পেয়েছি কিন্তু কোনোদিন বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমরা কোনো কর্মকর্তা বা পিএসের সঙ্গে বসতে চাই না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের পক্ষের মানুষ। জনগণের আস্থা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি আমাদের দাবি মেনে নেবেন। আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
এদিকে, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি বিবেচনার জন্য একজন সাবেক সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। আর অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৫৯ বছর।
গত কয়েক বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।