সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে দেশের প্রথম ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ সার্টিফিকেট পেল যে সিনেমা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সম্প্রতি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড প্রথা ভেঙে ‘সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করা হয়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মুক্তি প্রতীক্ষিত দুটি সিনেমা দেখার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় সার্টিফিকেশন বোর্ডের।
প্রথম দিনে ‘ভয়াল’ ও ‘রাজকুমারী’ সিনেমা সার্টিফিকেশন বোর্ডে প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ‘ভয়াল’ সিনেমাটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রদর্শনের অনুমতি দেয় সার্টিফিকেশন বোর্ড। গ্রেডেশন পদ্ধতিতে সিনেমাটি ‘এ’ গ্রেডে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য জাহিদ হোসেন।
‘ভয়াল’ সিনেমাকে প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ‘এ’ গ্রেডে ছাড়পত্র কেন দেওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সিনেমাটির সংলাপ, শয্যাদৃশ্য, প্রেগন্যান্সিসহ বিভিন্ন বিষয় দেখানো হয়েছে। এ কারণে এটি শিশুদের জন্য নয়। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে ‘রাজকুমারী’ সিনেমাটি সবার জন্য বলে উল্লেখ্য করেন জাহিদ হোসেন। তবে দুটো সিনেমারই কয়েকটি সংলাপ নিয়ে আপত্তি রয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্যদের। সেগুলো কর্তনের পর ছাড়পত্র দেয়া হবে বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র ‘সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামকরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
২০২৩ সালের শেষে এসে বিগত সরকার সার্টিফিকেশন বোর্ড আইন পাশ করলেও সেটির বিধিগুলো তৈরি করতে পারেনি। সবশেষ ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বিগত সরকারের পদক্ষেপটির বাস্তবায়ন ঘটে। তুলে নেওয়া হয় ‘সেন্সর’ শব্দটি।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৫ সদস্য-বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বোর্ডের সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন— আইন ও বিচার বিভাগের সচিব; প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র); জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার প্রতিনিধি; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি; ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু; চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল; চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন; চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির; চলচ্চিত্র পরিচালক খিজির হায়াত খান; চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ।