হিলিতে ৬৭ শিক্ষকের ঈদ আনন্দ অনিশ্চিত


প্রতিনিধি হিলি দিনাজপুরঃ মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমর আওতায় শিক্ষকতা করেন হাকিমপুর উপজলার মধ্যবাসুদেবপুর মহল্লার বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন (৪৫)। ৪ বছর আগে কোন এক অজানা রোগে মারা যান স্বামী রাজু আহম্মেদ। তিনি (রাজু আহম্মেদ) পেশায় ছিলেন একজন মুদি দোকানী। নিজের শিক্ষকতার বেতন ও স্বামীর ছোট্ট মুদি দোকানে যা আয় হতো তা দিয়ে তিন ছেলে, মে সহ স্বাভাবি চলছিল পরিবার। স্বামী মারা গেলে বন্ধ হয়ে যায় মুদি দোকান। শিক্ষকতা পেশায় যা পান তা দিয়ে স্কুলগামী দুই ছেলে ও এক মেয়ে কে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে সংসার। তাঁর এ পেশায় মাসিক বেতন ৫ হাজার টাকা। সেই বেতন ও নিয়মিত পান না। পান তিন মাস পর পর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসর বেতন তুলেছেন। সেই হিসেব মত চলতি মার্চ মাসে বেতন ও বোনাস পাওয়ার কথা। সেই আশায় বুক বেধে ছিলেন। ঈদের আর বেশী দিন বাকি নেই। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ঈদের কেনা কাটা। কিন্তু সাবিনার পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। তিনি যে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম এর আওতায় শিক্ষকতা করেন সেই প্রকল্পের মেয়াদ গেল বছরের ৩১ ডিসম্বর শেষ হয়েছে। নতুন করে প্রকল্প এখনো অনুমোদন হয়নি। তাই বেতন পাচ্ছেন না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, নিয়মিত বেতন পাওয়া যায় না। অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয়। এক বুক আশা ছিল ঈদের আগে পাব বেতন বোনাস। সেই বেতনের টাকা দিয়ে ছেলে মেয়েকে কিনে দিব ঈদের নতুন জামা কাপড়। কিন্তু তা আর হবেনা। গত দুই দিন আগে ফিল্ড সুপার ভাইজার জানিয়েছেন ঈদের আগে বেতন বোনাস হবে না। কারন নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ অনুমোদন এখন পর্যন্ত হয়নি।