ইউক্রেনের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেবেন পুতিন, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের


মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্প বলেন, “পুতিন খুব জোর দিয়েই বলেছেন, রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাব দিতে হবে”। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিফোন আলাপের পর ট্রাম্পের এই মন্তব্য সামনে আসে। তবে রুশ কর্মকর্তারা এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেননি, যদিও মস্কোর পক্ষ থেকে আগে বলা হয়েছিল, (ইউক্রেনের হামলার) প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে “সামরিক পদক্ষেপও বিবেচনায় রয়েছে”।
ট্রাম্প আরও বলেন, এই আলোচনার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, ফোনালাপে পুতিন অভিযোগ করেন, ইউক্রেন শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত করছে এবং কিয়েভের সরকার এখন ‘সন্ত্রাসী সংগঠনে’ পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, দুই নেতা দেশদুটির মধ্যে সহযোগিতা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও আলোচনা করেছেন। এমনকি দুই দেশে সম্পর্কে ‘বিশাল সম্ভাবনাময়’ বলেও বর্ণনা করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে চোরাই ড্রোন দিয়ে আকস্মিক হামলা চালায়। সেখানে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম বোমারু বিমান ছিল। চাঞ্চল্যকর সেই হামলার পর ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এই ফোনালাপটি অনুষ্ঠিত হলো।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, ট্রাম্প ফোনে পুতিনকে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই ড্রোন হামলার ব্যাপারে আগে কিছু জানত না।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্পমন্ত্রী ইউরি সাক বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তারা আশা করেছিলেন রাশিয়ার অব্যাহত মিসাইল ও ড্রোন হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এবং মস্কোর ওপর চাপ বাড়াবে।
এর আগে গত ২৬ মে ট্রাম্প বলেছিলেন, “পুতিন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন” এবং তিনি “আগুন নিয়ে খেলছেন”। তখন রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে ড্রোন ও মিসাইল হামলা বাড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে বহু বেসামরিক লোক নিহত হন।
সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে পুতিন শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না দেখালে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান বদলাতে পারে। তবে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া সাম্প্রতিক পোস্টে ট্রাম্প সেই সময়সীমা বা আগের মন্তব্যের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি।