শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লোকসানের অজুহাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হয়নি,দেশীয় কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি

লোকসানের অজুহাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হয়নি,দেশীয় কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি

হিলি প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে এক দিন কাঁচামরিচ আমদানি হয়।আজ সোমবার কাঁচা মরিচ আমদানির কথা থাকলেও লোকসানের অজুহাতে এই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়নি। এদিকে ঈদের আগে আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার বাজারে পেঁয়াজ আসলে আরও দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়,ঈদ উপলে বন্দর বন্ধের একদিন আগে সোমবার ( ২৬ জুন) কাঁচামরিচ আমদানি হয়। একদিনেই আমদানি হয় ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। কিন্তু স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ যেই হিলি দিয়েই আমদানি হয়েছে, সেই বন্দরের বাজারেই আসেনি ভারতীয় কাঁচা মরিচ। টমেটো আমদানির কথা থাকলেও এখন আমদানি শুরু হয়নি।
পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা ও খুচরো বিক্রেতাররা বলেন,২৬ জুন ভারত থেকে কাঁচামরিচ বন্দর দিয়ে এলো। কিন্তু আমরা গিয়ে ১ কেজি কাঁচামরিচও পাইনি।তাই কৃষকদের কাছ থেকে দেশি কাঁচামরিচ কিনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
আজ সোমবার (৩ জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কাঁচা মরিচ সরববাহ কম থাকলেও আজ দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, আজ আমি পাঁচবিবি থেকে পাইকারী ১৯০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। বর্তমানে ৩০০ টাকা কেজি প্রতি কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।জয়পুরহাট, বগুড়া,বিরামপুর, পাঁচবিবির মোকামগুলো থেকে কাঁচামরিচ সরবরাহ করে থাকে। মোকামগুলোতে কৃষকেরাই বেশি দামে বিক্রি করছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান,ঈদের আগে কিনা পেঁয়াজ রয়েছে। সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা বিক্রয় করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমদানিকারক বলেন,সরকার কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকাসহ অনান্য জায়গার পাইকারি কাঁচা মরিচ ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অবস্থান করছিলেন। যে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল,সেগুলো ওই দিনই বাইরের পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। এ কারণে স্থানীয় বিক্রেতারা কোনো কাঁচামরিচ কিনতে পারেননি।আজ কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। এই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন হিলি বাজজারেও পাওয়া যাবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো.ইউসুফ আলী জানান, গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।গত রোববার ( ২৫ জুন) সরকার আবারও কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়।এর ফলে সোমবার ( ২৬ জুন ) থেকেই হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন,এই বন্দরের ১৩ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন