পার্বতীপুরে রেললাইন চুরির ঘটনায় ১১ মামলা
সোহেল সানী : শেষ পর্যন্ত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো রেললাইন চোর চক্র। দীর্ঘদিন ধরে পার্বতীপুরে রেললাইন চুরির তৎপরতা চালাচ্ছিল দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার মধ্যরাতের কিছু পরই পার্বতীপুর শহরের রোস্তম নগরে বিএডিসি বাফার গুদামে সামনে থেকে রেললাইন কাটার উপকরনসহ চার দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেল পুলিশের যৌথ টহলদল। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫-১১ ফুট দীর্ঘ ১৭ খন্ড রেললাইন ও দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সিংগীমারী দরিখামার গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২১), একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে তহিদুল ইসলাম (২৩), চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকা বাড়ী সরকারপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে জান্নাতুল ফেদৌস (২৮) ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের পুরাতন বাবুপাড়া মহল্লার মনতাজ হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ রাজা (৪০)। আজ বৃহস্পতিবার পার্বতীপুরে রেলের উদ্ধর্তন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পিডবিøউআই) মো: আল আমিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর রেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পার্বতীপুরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক মো: আহসান হাবীব বলেন, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তারা যৌথ অভিযান চালিয়ে রেল লাইন চোরদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। আইন শৃংখলা বাহিনী কর্মকর্তাদের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রেললাইন কাটায় অত্যান্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ। সম্প্রতি পার্বতীপুর-মধ্যপাড়া ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল লাইনের ৫ কিলোমিটার রেল, ৩৩৪ পিস ফিসপ্লেট, ২০৯টি কাঠের ¯িøপার, ২ হাজার ৭০০টি ডক স্পাইক ও নাটবোল্ট চুরি ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের ধারনা। এসব চুরির ঘটনায় এপর্যন্ত পার্বতীপুর রেল থানায় ১০ থেকে ১১টি মামলা হলেও পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় একটি ঘটনারও রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। রেলের ধাতব মালামাল চুরির ঘটনার যথাযথ তদন্ত হলে ঘটনায় জড়িতরা ছাড়াও এর পিছনের মদদাতাদের মুখোশ উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। অন্য একটি সুত্র জানায়, সম্প্রতি দেশে লৌহজাত পন্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় রেলওয়ের অরক্ষিত অবকাঠামো লোহা চোরদের মূল লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত হয়েছে। এ কাজে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে পার্বতীপুরে আনাচে-কানাচে ব্যাংগের ছাতার গড়ে ওঠা অনিয়ক্রিত ‘ভাংড়ি’র দোকান।