পেইনকিলার কখন খাওয়া ক্ষতিকর?
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : তীব্র ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পেইনকিলার খেয়ে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করেন। এটি ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে কাজ করে। তবে কিছু পরিস্থিতিতে আপনার জন্য পেইনকিলার নিরাপদ নয়। সেগুলো সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা জরুরি। আপনার নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য কখন পেইনকিলা খাওয়া যাবে না তা জেনে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. লিভার অথবা কিডনির সমস্যা থাকলে
লিভার বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পেইনকিলার খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে আইবুপ্রোফেনের মতো অ্যাসিটামিনোফেন বা ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ থাকলে। এই ওষুধ আগে থেকেই বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। নির্দেশ অনুসারে না নেওয়া হলে এটি আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
২. গর্ভবতী হলে
গর্ভবতীদের পেইনকিলার খাওয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত, কারণ কিছু ওষুধ বিকাশকারী ভ্রূণের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কিছু পেইনকিলার, বিশেষ করে NSAIDs ভ্রূণের বিকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এটি গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট পর্যায়ে এড়ানো উচিত।
৩. ওষুধে অ্যালার্জি হলে
আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট পেইনকিলারে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই ওষুধটি এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ত্বকে ফুসকুড়ির মতো হালকা লক্ষণ থেকে শুরু করে অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো মারাত্মক জীবন-হুমকির অবস্থা পর্যন্ত তৈরি করতে পারে। আপনি যদি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ অনুভব করেন, যেমন শ্বাস নিতে অসুবিধা বা ফুলে যাওয়া, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হলে
রক্তপাতজনিত ব্যাধি, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা হার্টের সমস্যার মতো নির্দিষ্ট সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট পেইনকিলার এড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। NSAIDs রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং পেটের আস্তরণে জ্বালা তৈরি করতে পারে, আবার কিছু পেইনকিলার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
৫. অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকলে
যে পেইনকিলার আপনি খাচ্ছেন তা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। ক্ষতিকারক মিথস্ক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে সেবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনিই ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবেন যে এই ওষুধগুলো আপনার ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে কি না।
৬. সদ্য অস্ত্রোপচার করা হলে
যদি কিছুদিন আগেই আপনার কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে তবে পেইনকিলার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কারণ অস্ত্রোপচারের পরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই ব্যথা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়ে থাকেন। তিনিতারা ওষুধ লিখে দিতে পারেন এবং জটিলতা রোধ করতে বা নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করতে নির্দিষ্ট পেইনকিলার এড়ানোর পরামর্শ দিতে পারে। সার্জারির পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ সেবন করুন।