কোচরা নির্বাচনের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : রাত পোহালেই নির্বাচন। সারা দেশ জুড়েই আলোচনায় এখন জাতীয় নির্বাচন। সাবেক-বর্তমান ক্রীড়াবিদের অনেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। এই দুই অংশের বাইরে ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা নির্বাচন সুষ্ঠভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছেন। সাবেক ক্রীড়াবিদ যারা এখন কোচের দায়িত্ব পালন করছেন এমন কয়েকজন নির্বাচনী কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশের শুটিংয়ের অন্যতম তারকা আসিফ হোসেন খান। ২০০২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজেতা এই শুটার এখন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচ। আগামীকালের নির্বাচনে বিকেএসপির নিকটবর্তী এক স্কুলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। আজ দুপুরে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বুঝে নিয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে গোছগাছ করছেন। কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আমার কাছে বেশ ভালোই লাগছে। নতুন একটা পরিবেশে অন্য পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সুযোগ। সর্বোপরি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমও।’ আসিফের মতো বিকেএসপির ফুটবল কোচ জয়া চাকমা, পরিতোষ দেওয়ান, বাস্কেটবল কোচ খালেদ মাহমুদ আকাশ সহ আরো কয়েকজনের নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পড়েছে। সবারই কেন্দ্র বিকেএসপির নিকটবর্তী। আগামীকাল সকাল থেকেই ভোট। তাই আজকের রাত নির্বাচনী কেন্দ্রেই কাটানোর বন্দোবস্ত হয়েছে। নির্বাচনীয় দায়িত্ব পাওয়া অনেকের পরিবারের মধ্যে খানিকটা উৎকন্ঠাও বিরাজ করছে। তবে আসিফের কাছে বিষয়টি উপভোগের উপলক্ষ্যই, ‘আমরা ক্রীড়াবিদরা পাঁচ তারকা হোটেলে থেকে যেমন অভ্যস্ত তেমনি বিমানবন্দরে ট্রানজিটেও কয়েক ঘন্টা ঘুমাতে পারি। সব পরিবেশেই মানিয়ে নেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। স্কুলে এক রাত থাকতেও আমার কোনো সমস্যা নেই।’ বিকেএসপির কোচদের মতো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনেক কোচেরও নির্বাচনী ডিউটি পড়েছে। তারাও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। মোবারক করিম লিটনকে ক্রীড়াঙ্গনে সবাই প্রশাসক হিসেবে চিনলেও তিনি মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হকি কোচ। সিনিয়র এই কোচ নির্বাচনী ডিউটি নিয়ে বলেন, ‘আগে একবার জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা ছিল। মাঝে অন্য নির্বাচনের ডিউটি করেছি।’ লিটনের সঙ্গে দাবার কোচ আবু সুফিয়ান শাকিল, ক্রিকেট কোচ স্বপ্নীল, ভলিবল কোচ মামুন, বক্সিং কোচ আতিয়ার রহমান, ভলিবল কোচ জহুরা বেগম নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের ডিউটি করবেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচদের রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে দায়িত্ব পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে আয়োজনে লক্ষ্যে শিক্ষক, ব্যাংকার ও অন্য পেশার নানা ব্যক্তিদের নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিকেএসপি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দুই প্রতিষ্ঠান। এই দুই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন কোচ ছাড়াও অন্য কয়েকজন অফিসারও নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে অনেক সাবেক ক্রীড়াবিদ-কোচরা কর্মরত। অনেক নির্বাচনে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পড়লেও এবার পড়েনি। নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রধান প্রিজাইডিং অফিসার। একজন প্রিজাইডিং অফিসারের অধীনে থাকেন কয়েজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের অধীনে থাকেন কয়েকজন পোলিং অফিসার।