তীব্র শীতে রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় এই বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ফলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শীত ও ঠাণ্ডার তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে আবারো যথারীতি পাঠদান চালু করা হবে। এদিকে মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের আট জেলাতেই সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে তীব্র শীতে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষজন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা হয়েছে, ভোর ৯টায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পত্র মোতাবেক ও রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের কারণে বিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তাপমাত্রা বাড়লে বুধবারের পর থেকে বিদ্যালয় আবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। শিক্ষকদের সবাইকে হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমরা শীতের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ গুরুত্বসহকারে দেখছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫টি। এছাড়া বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৪৬টি, মাদরাসা ১ হাজার ৫৩৮টি এবং এবতেদায়ী মাদরাসা ১ হাজার ৫৪৮টি রয়েছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক নির্দেশনায় জানায়, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হলে স্কুল-কলেজের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে। কোনো জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রির নিচে নামে, সেক্ষেত্রে সেই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। আবহাওয়া, রাডার ও ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষাণাগার রংপুরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও নীলফামারীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ দশমিক শূন্য, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।