ডোমারে নিয়োগের প্রতারনা মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে।
রবিউল হক রতন ,ডোমার( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারীক পদে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম।পরে নিয়োগ গ্রহনকারী বিষয়টি ভূয়া বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষকের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করলে, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ময়বুল ইসলাম কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বামুনিয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম ২০১৪ সালে রেজাউল ইসলাম নামে গ্রন্থাগারিক পদে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করে তার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন। পরবর্তীতে তার নিয়োগ পত্রটি ভূয়া বুঝতে পেরে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ময়বুলের নামে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।এরপর ডোমার থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেন, তদন্তে প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহনের সত্যতা পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে বাদী রেজাউলের হাতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আপোষ শর্তে জামিন পান। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করার সময় নেন আদালতে। কিন্তু একের পর এক সময় অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম টাকা পরিশোধ না করে কালক্ষেপণ করিতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার বিঞ্জ আদালতে পূর্বের জামিন না মঞ্জুর করে প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। টাকা পরিশোধ করার শর্তে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দিয়েছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার পূর্বের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শুরু করে আজবধি প্রধান শিক্ষক ময়বুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে নিজের ক্ষমতাবলে বিদ্যালয়ের গাছকাটা,নিজের মেয়েকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাত, স্কুলের ফ্যান চুরিসহ এরকম আরও নানা অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক ময়বুলের বিরুদ্ধে।