কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে শশুর-শ্বাশুড়ি ও দেবরের পিটুনিতে গৃহবধূ নিহত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে তাসলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে শশুর-শ্বাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় দুপুরে শ্বাশড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ তাসমিলা খাতুন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচর এলাকার মৃত আবদুল সালামের মেয়ে।
অভিযুক্তরা হলেন, শশুর রহিজল হক (৫০), সৎ শ্বাশুড়ি সালেহা খাতুন (৪৫) ও দেবর সানোয়ার হোসেন (২০)। তাদের বাড়ি রাজীবপু উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকার রহিজল হকের ছেলে মুকুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচর এলাকার মৃত আবদুল সালামের মেয়ে তাসমিলা খাতুনের।
বিয়ের ১০ বছর হলেও সন্তান আসেনি তার ঘরে। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে শশুর বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় তার দেবর সানোয়ার হোসেন টয়লেটে যাবে বলে তাকে সরে দাঁড়াতে বলেন। এতে একটু দেরি হলে তার সৎ শ্বাশুড়ি সালেহা খাতুন গিয়ে ওই গৃহবধূকে লাথি ও মারধর করতে থাকেন।
পরে শশুর রহিজল হকও তাকে আরও মারধর করতে বলেন। একপর্যায়ে শশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবর মিলে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই গৃহবধূকে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিসক সামিউল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের দাগ রয়েছে।
রাজিবপুর থানার ওসি (তদন্ত) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।