শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কোটচাঁদপুরে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর গৃহবধূর মৃতদেহ খোঁজ উদ্ধার

কোটচাঁদপুরে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর গৃহবধূর মৃতদেহ খোঁজ উদ্ধার

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন গৃহবধূ সালমা খাতুন (২৭) শুক্রবার সকাল ১১টার সময় তাঁর খোঁজ মিললো বাড়ির পাশের পানের ক্ষেতে। খবর পেয়ে  শুক্রবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর সার্কেলের (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার  মুন্না মিয়া। মৃতের বোন কমলা খাতুন বলেন, গেল ২০ বছর আগে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার বোন সালমা খাতুনের। দুই ছেলে মেয়ের জনক তারা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৭টা বাজে। এ সময় আমার বোন সালমার মেয়ে মোবাইল করে বলেন, তোমাদের বোন কার সঙ্গে চলে গেছে। সে সময় থেকে আমরা চিন্তিত ছিলাম। রাতে ভাল করে ঘুমও হয়নি আমাদের। শুক্রবার সকালে জানতে পারি সালমার মৃত্যুর খবর। কমলা অভিযোগ তুলে বলেন,আমার বোনাই তরিকুল ইসলাম তাকে মেরে ফেলেছেন। বিয়ের পর থেকে বোনাই বোনকে অত্যাচার করেন। কয়েক দিন আগে ও বোন কে মারার জন্য সারা পাড়া দৌড় করিয়েছেন। আমরা তাঁর বিচার চায়। সালমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডের খলসি গ্রামের মৃত হায়দার আলীর মেয়ে। প্রতিবেশী মন্টু বিশ্বাস বলেন, গতকাল রাতে জানতে পারলাম সে কার সঙ্গে চলে গেছেন। এরপর আর কোন কিছু জানতাম না। সকালে খবর পেলাম তাঁর মৃত দেহ পড়ে আছে বাড়ির পাশে পানের ক্ষেতে। তিনি বলেন,এটা তরিকুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে সালমার খালাতো বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সে অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। স্বামী তরিকুল ইসলাম বলেন, বিকেলে ছেলেকে নিয়ে বাজারে গিয়ে ছিলাম। এরপর রাত ৮টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি এসে জানতে পারলাম সে বাড়ি নাই। সে সময় আশে পাশে খোজ করি। কিন্তু না পেয়ে বাসায় ফিরে আসি।  তিনি বলেন, আমার সন্দেহ ছিল সালমা কারোর সঙ্গে চলে গেছে। কারন আমি জানতাম সে বারবাজারের একজনের সঙ্গে কথা বলেন। সে মোতাবেক শুক্রবার সকাল তাকে খোজ করতে বের হই বাড়ি থেকে। পরে বেলা ১১টার সময় মোবালের মাধ্যমে জানতে পারি তাঁর মৃত্যুর সংবাদ। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার  মুন্না মিয়া বলেন,দেখে তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এটা কি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে কিসে যেন তাঁর নাক ও কান খেয়ে গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত  শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। পুলিশ তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে এসেছেন। এ দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী তরিকুল ইসলাম কে থানায় আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন