ঢাবিতে রোকেয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) ‘রোকেয়া দিবস-২০২৩’ উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবন মিলনায়তনে ‘রোকেয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন বক্তৃতা, স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করেন। রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশন বক্তৃতা প্রদান করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ও সাবেক বিজিএমইএ-এর সভাপতি ড. রুবানা হক। স্বাগত বক্তব্য দেন হলের আবাসিক শিক্ষক সামশাদ নওরীন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফারহানা তাসনিম চৌধুরী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু নারী জাগরণ নয়, পুরুষ জাগরণেরও পথিকৃৎ। নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। অর্থনীতি ও মুক্তি দুটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেননা অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া নারী মুক্তি সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া যুগোত্তীর্ণ একজন নারী। তিনি নারী-পুরুষ সবাইকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নে রোল মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। উপাচার্য আরও বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের জায়গা। শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েরা মেধার স্বাক্ষর রেখে চলছে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫২ শতাংশ ছাত্রী ও ৪৮ শতাংশ ছাত্র রয়েছে। উপাচার্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করে সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।ফাউন্ডেশন বক্তা ড. রুবানা হক গত দুই দশকে নারীর অবস্থান নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সামাজিক জীবনে নারী এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি দৃশ্যমান। শহরে তো বটেই, গ্রামেও নারী এখন শিক্ষা ও কাজে বেশি অংশগ্রহণ করছে। বর্তমান সময়ে নারীর পিছিয়ে আসার কোনো উপায় নেই। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের আরজু আফরিন ক্যাথি। মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের আশরাফুন জান্নাত সুপ্তি, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শাহাজাদী সুলতানা, নৃত্যকলা বিভাগের সাদিয়া জিসান ঋতু এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমাইয়া জান্নাত সুপ্তি।সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের পূজা বসাক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের এ আর তাহসিন জাহান, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের রুকাইয়া পারভীন লাবনী এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নমল উমামা চৌধুরী। এ ছাড়া কল্যাণ বৃত্তি পেয়েছেন উর্দু বিভাগের সাজেদা আক্তার।