শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

টাকা নিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর, প্রধান শিক্ষকের ভিডিও ভাইরাল

টাকা নিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর, প্রধান শিক্ষকের ভিডিও ভাইরাল

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : রংপুরের কাউনিয়া দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বরের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবক মহল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ করেছেন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার সামনে রাখা একটি খাতার ভেতরে রাখছেন। ছাত্রীরা ওই শিক্ষককে টাকা দেওয়ার সময় ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ নম্বর দেওয়ার জন্য দাবি করেন। ছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নিতে দেখা যায় প্রধান শিক্ষককে। বিদ্যালয়টির ছাত্রীরা জানান, ইতোপূর্বের পরীক্ষাগুলোতেও তিনি ছাত্রীদের ব্যবহারিকে বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। তিনি গরিব, মেধাবী কিংবা মধ্যবিত্ত ছাত্রী বোঝেন না। সবার কাছে থেকেই তিনি টাকা নেন। টাকা ছাড়া তিনি ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর দেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক এমন কিছু অনিয়ম করেছেন, যা কর্তৃপক্ষ জানেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এবার ব্যবহারিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্য বিব্রতকর অবস্থা।  এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিডিওটি আমাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেননি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাকিম সরদার বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগের কথা আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা ইউএনওকে জানিয়েছি। যেহেতু ভিডিওটি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট তাই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার ইউএনওর। এ বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ওই প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপরের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। ওই শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন