রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

চলন্ত ট্রেনে শিশুর জন্ম দিলেন মা

চলন্ত ট্রেনে শিশুর জন্ম দিলেন মা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেনে এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক মা। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর স্টেশন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।  নবজাতকের মায়ের নাম জান্নাতুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহার ইউনিয়নের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। রেলসূত্রে জানা যায়, ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ‘ড’ বগি দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন গর্ভবতী জান্নাতুল ইসলাম। সঙ্গে  ছিলেন তার স্বামী ইকবাল হোসেন। ট্রেনটি ভৈরব বাজার স্টেশন পার হলেই জান্নাতুল ইসলামের প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের কর্মী জুবায়ের ও চালক মো রাসেল মুন্সী ঢাকা কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্ট্রেশন মাস্টারকে বিষয়টি অবগত করা হয় এবং ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন এলে গর্ভবতী জান্নাতুল ইসলামকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পৌঁছানোর আগেই সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলস্টেশন এলাকায় জান্নাতুল ইসলাম কন্যা শিশুকে জন্ম দেন। শিশুটিকে প্রসব করান ট্রেনের এক চিকিৎসক যাত্রী। পরে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এলে প্রসবকারী জান্নাতুল ইসলাম ও নবজাতকটিকে একটি সিএনজিতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে জন্ম নেওয়া শিশু ও প্রসবকারীকে হাসপাতালে আনার পর ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেই। তবে স্বামী ইকবাল হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মা ও মেয়েকে নিয়ে চলে যান। মা ও মেয়ে সুস্থ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা থেকে জানায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে। কারণ একজন নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। তবে তালশহর স্টেশনেই নারীটি কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরত দেওয়া হয়। তারপর মা ও নবজাতকটিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন