রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে হোটেল ব্যবসা, খোঁজ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের

অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে হোটেল ব্যবসা, খোঁজ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরে হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খাবার হোটেল ব্যবসা। হোটেল গুলির বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর এবং অধিক দামে খাবার বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে হোটেল গুলি নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে জানা গেছে, হোটেলের খাবারের গুণগত মান ও খাবার তৈরির পরিবেশের উপর নজরদারির কথা থাকলেও তার কোনটি করছেন না সংশ্লিষ্ট নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে হাকিমপুর সদর উপজেলার বাংলা হিলি বাজার ও আশপাশের এলাকায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেলের বাইরে থেকে সজ্জিত চাকচিক্য। হোটেলের ভেতরের দৃশ্যটি ভিন্ন। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে ওইসব হোটেলে। ব্যবহার করা হচ্ছে অপরিস্কার পানি, ও খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার হচ্ছে বিট লবন, টেস্টিং সল্ট,ব্রেকিং পাউডার, হাইড্রোজ, স্যাকারিন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপকরণ। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়াও পঁচা-বাসি খাবার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে হোটেলগুলিতে । তাও আবার উচ্চমূল্যে। ক্রেতাদের প্রতিনিয়তই ওইসব হোটেল ও রেস্টুরেন্টে গিয়ে মূল্যের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে। এদিকে, হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রেখে স্বাচ্ছন্দে খাবার কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা। বাদল নামের একট্রাক চালক বলেন, গাড়ি চালানোর কারণে তীব্র ক্ষুধা নিয়ে হোটেলে খেতে বসি। হোটেলের খাবারের মান খুবই খারাপ। অথচ দাম অনেক বেশি না খেয়ে উপায় নাই আমাদের। হিলি বাজারের দোকান কর্মচারি সবুজ বলেন, সকালে কাজে আসি বাড়িতে ফিরতে রাত দশটা এগারোটা বাজে তাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় নাস্তা করতে হয় । হোটেলে খাওয়ার কারনে খুব গ্যাস হয় তবু খেতে হয়। হোটেল মালিকেরা বলেন, খাবারের হোটেলের পরিবেশ আর কত ভালো থাকবে? কড়াই ভর্তি তেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরি,সিঙ্গারা, সমুচা, মোগলাই ভাজতেছে এরপর ও বিক্রেতার দাবি পোড়া তেল ব্যবহার করেন না তিনি।কি করেন পোড়া তেল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন বাড়িতে নিয়ে যাই। এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার গৌতম কুমার সাহার সঙ্গে ১৮ মে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার সময় মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর জেলা সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগমের কাছে পোড়া তেলে খাবার তৈরি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথায় তিনি বলেন আমরা অভিযান পরিচালনা করব। তিনি আরো বলেন সেখানে স্থানীয় প্রশাসন আছে তারা যদি পদক্ষেপ নেয় দুই একটা প্রতিষ্ঠান সিলগালা, বন্ধ করে দেয় তাহলেই তাদের টনক নড়বে আর আমরা একদিনের জন্য যাই এটাতে কাজ কম হয়। আগামীকাল আমাদের মিটিং আছে সেখানে তিনি আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর নিব এবং অভিযান চালাবো। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে প্রতি নিহিত মোবাইল কোট করা হয় তাদের বারবার বলা হয় বুঝানো হয় তারপরও তারা সচেতন কতটুকু হয় তা প্রশ্ন সাপেক্ষ? তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন