তজুমদ্দিনে দুই গ্রুপের মারামারিতে ১৫ জন আহত।।
সেলিম রেজা, তজুমদ্দিন ( ভোলা) প্রতিনিধি । ভোলার তজুমদ্দিনের শম্ভুপুরে পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতের এঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ঘটনা সুত্রে জানাগেছে, শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর সাকিনের বেলায়েতের ছেলে আঃ হান্নানকে শশীগঙ্জ বাজারের রফিজল মিকার কাছ থেকে বাকীতে ৬৮ হাজার টাকার বেটারি নিয়ে দেয় মুচিবাড়ির কোনার নুরনবী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাকী থাকা ২৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে হান্নান, শাহীন, সুমন, মানসুর গ্রুপের কয়েকজন সাথে নুরনবী,কামাল ও হৃদয়ের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বিতীয় দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন ও ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। নুরনবী গ্রুপের আহতরা হলো- মিরাজ(২৫),রবিউল (৩৫),আল-আমীন (২৫),নিসাদ(১৫), নুরনবী (৪০),কামাল(৫০),হৃদয়(১৭) এদিকে হান্নান গ্রুপের কয়েকজন আহত হলে সংঘাত এড়াতে তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা হলো-জুয়েল (২৪), আল-আমীন (২৫), আব্বাস (২৬), নয়ন(২২), মুনসুর (৩০), সাহিন(২৬), নুর জাহান(৪৫)
এবিষয়ে অভিযুক্ত হান্নানের কাছে জানতে চাইলে ২৬ হাজার টাকা দেনা আছে স্বীকার করে বলেন, আমরা পরস্পর আত্মীয়। কিছু লোক আমাদের পক্ষ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলমগীর হোসেন বলেন, উভয় পক্ষই আমার ওয়ার্ডে বাসিন্দা পরস্পর আত্মীয় স্বজন । পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে মারমারি হয়, উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসদুর রহমান মুরাদ বলেন, মারামারি করে একপক্ষ ৯৯৯ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।