রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সাতক্ষীরা সীমান্তে পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

সাতক্ষীরা সীমান্তে পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ভারত-বাংলাদেশের শুন্যরেখা সাতক্ষীরা সীমান্তের ২৭৮ কিলোমিটার জুড়ে কঠোর অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যর। পবিত্র ঈদুল আযাহা কে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু পাচার ও বাংলাদেশ থেকে চামড়া পাড়ার রোধে কঠোর নজরদারি বসিয়েছে বাহিনীটি।
গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সুত্রে জানা যায়, দুদেশের বর্ডারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় ২৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। দেশের ভুখন্ড অক্ষুন্ন রাখতে জেলাকে তিনটি ব্যাটালিয়নের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকার সীমান্তে বিজিবি টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রধান সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
তবে, দীর্ঘ এ সীমান্তের প্রায় ৩০টি চোরাঘাট দিয়ে মানব পাচার ও চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। দেশে সবচাইতে বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয় ঈদুল আযহায়।
এসময় দেশে বিভিন্ন ধরনের পশু কোরবানি করা হয়, যা থেকে সারা বছরের অন্তত ৬০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয়। আবার এই সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী সীমান্ত দিয়ে গরু আমদানি করে এবং ভারতে পাচার করে কাঁচা চামড়া। ঈদের পর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে চামড়া পাচার রোধে তাই সাতক্ষীরার পুরো সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি ও জেলা পুলিশ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা এসএম মাহবুবুর রহমান জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলায় ৫ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন।
এদিকে, এবছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, চামড়া পাচার রোধে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তের সড়কে কোনো চামড়াবাহী যানবাহন ঢুকতে পারবে না। অন্য জেলা থেকেও চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। তবে জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সংগৃহীত চামড়া যশোর ও ঢাকার আড়ত এবং ট্যানারিতে নিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান তিনি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন