উলিপুরে বন্যায় ডুবে আছে চর বালা ডোবা ,বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে
উলিপুর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের দ্বীপ চর বালা ডোবা গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। সম্প্রতি বন্যায় ডুবে আছে চরটি। ঘরবাড়ি গবাদিপশু নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় গত সাতদিন ধরে পানির মধ্যে বসবাস করছে এ এলাকার মানুষজন। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি বেসরকারিভাবে চর বালা ডোবার মানুষের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ কিলোমিটার দূরে চর বালা ডোবার অবস্থান। চারপাশে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত এই চরটিতে নৌকা ছাড়া যাওয়ার উপায় নেই। পানিতে ভাসা এই চরটির মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সাতদিন ধরে পানির মধ্যে বসবাস করছেন তারা। অনেকেই ঘরবাড়ি তালা দিয়ে লোকালয়ের বাঁধ আশ্রয়কেন্দ্র স্কুল ও স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যারা আছেন তাদের কষ্টের সীমা নেই। ঘরে বাইরে পানি থাকায় খাটের মধ্যে একদিকে চুলা আর একদিকে কোনো রকম থাকার ব্যবস্থা করে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এছাড়া গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। নেই উঁচু জায়গা, বন্যার আগে কোনো রকম ছোট ভিটা উঁচু করে সেখানে গরু ছাগল নিয়ে দিন কাটছে তাদের। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে চর বালা ডোবা গ্রামের শতাধিক পরিবারের মাঝে। চর বালা ডোবা গ্রামের জিন্নাত আলী-রঙমালা দম্পতির বলেন, হামরা গত সাতদিন ধরে ঘরে পানি। খাওয়ার কষ্ট, একবেলা রান্না করে দুবেলা খাওয়া ছাড়া উপায় নাই। কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। গরু-বাছুর নিয়ে খুব বিপদে আছি। নুরনাহার বেগম বলেন, এ চরে সবাই খু্ব কষ্টে আছি। চেয়ারম্যান মেম্বার এখন পর্যন্ত হামারগুলার কোনো খোঁজ নেয় নাই। পানি তো বাড়ছে এমন পানি বাড়লে বাচ্চা কাচ্ছা নিয়ে কই যামো। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, চর বালা ডোবা গ্রামের চারদিকে পানি। ওখানকার পরিবারগুলো খুব কষ্টে আছে। আমরা নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত চর বালা ডোবা গ্রামের মানুষজন সহযোগিতা পাবে।