রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

নোয়াখালীতে র‍্যাবের অভিযানে সড়কে চাঁদাবাজির ঘটনায়: নগদ টাকাসহ  ৩৪ চাঁদাবাজ আটক

নোয়াখালীতে র‍্যাবের অভিযানে সড়কে চাঁদাবাজির ঘটনায়: নগদ টাকাসহ  ৩৪ চাঁদাবাজ আটক
জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় ৩৪ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। এ এসময় চাঁদা আদায়ের নগদ ৯৮হাজার ৫১৫ টাকা, ৩৪টি মোবাইল, লাঠিসোঁটা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় এসব অভিযান চালানো হয়।
র‍্যাবের প্রেস রিলিজ থেকে জানাযায় , আটককৃতরা চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে প্রশাসনকে। তারা নোয়াখালী জেলার  সদর উপজেলার মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুরের জিরো পয়েন্ট এবং বেগমগঞ্জের চৌমুহনী, চৌরাস্তার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি,সিএনজি  চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে।
 তারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ও আভ্যন্তরীণ পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকত।
 ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, চক্রটি জেলার বিভিন্ন এলাকার মহসড়ক থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ি,সিএনজি, অটোরিকশা চালকদের থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা ও সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাধারণ পথচারী ও গাড়ী চালকেরা দাবি তুলেন লোভ দেখানো অভিযান যেন না হয় এটা প্রশাসনের। এমন অভিযান অব্যাহত থাকলে যাতায়াত ভাড়া আরও কম দিয়ে জনসাধারণ তার গন্তব্য স্থানে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেক সাধারণ যাত্রীগণ। সড়কে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যদিনের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও যাতায়াত ভাড়া যাত্রীদের থেকে বেশি নিতে বাধ্য করা হয় চালকদের এমন অভিযোগও পাওয়া যায় প্রতিনিয়ত।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন