উলিপুরে পশু খাদ্যের তীব্র সঙ্কট
উলিপুর (কুড়িগ্রাম):প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুরের চরাঞ্চলগুলোর বেশির ভাগ পরিবারের ভাগ্য বদলে যায় গবাদিপশু পালন করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে আছে এসব চর। ফলে চরের মানুষ তাদের পশু খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে পশু খাদ্যের। ব্রহ্মপূত্র, ধরলা ও তিস্তার বিশাল চরে জন্ম নেয়া আগাছা, তাদের পশুখাদ্যর প্রধান নির্ভরতা। পানিতে সব আগাছা ও খড় পঁচে গেছে। সব মিলিয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পশু খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আর স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতেও পশু খাদ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বেশির লাভের আশায় গরু পালন করলেও এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কাশিম বাজারগামী সড়কে মধ্য শফিকুল,মফিদুল,এমদাদুল ৩ টি গরু, মগবুল হোসেন৪টি সহ আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়,।টি বাঁদের মোস্তফা ৩টি তিনি বলেন, বন্যায় চরগুলো দীর্ঘদিন ধরে ডুবে আছে, যা খড় মজুদ ছিল তাও শেষের পথে। কিভাবে যে গরু গুলোকে বাঁচাবো।
ওই গ্রামের আশ্রয় নেয়া রফিকুল এর স্ত্রী নাসিমা জানান আমরা পাঁচটি মানুষ আমরাই কি খাই গরুকে বা কি খাওয়াই, ৫০টি আটি দুই শত টাকা দিয়ে নিয়েছি গরু নিয়ে এখানে আছি। ফিরে গিয়ে কি খাওয়াবো সেটাই চিন্তা। ওই রাস্তায় প্রায় ২ শতাধিক গোরু ও মহিষ নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো। এসব পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদিপশু পালন করে তারা পরিবার চালান। সবাই গো-খাদ্যের সংকটে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলায় তিস্তা নদী বেষ্টিত বজরা, থেতরাই, গুনাইগাছ, দলদলিয়া ও ব্রহ্মপ্রত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি, হাতিয়া ইউনিয়নে দীর্ঘসময়ের বন্যায় সিংহভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। এর কারণে প্রচুর পরিমানে পশু খাদ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে চরাঞ্চলে পশু খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু বাঁচাতে স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পশু খাদ্য চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুর হক বলেনএখন পর্যন্ত সরকারি কোনো অনুদান পাইনি চাহিদা উপজেলায় পাঠিয়েছি, পেলে
পশু খাদ্য বিতরণ করা হবে।