শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

হিলিতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

হিলিতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ  বাংলা হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক গোলাম মস্তফার অনিয়ম দুর্নিতি করনে তার পদত্যাগের দাবিতে হাকিমপুর উপজেলা পরিষদে শিক্ষার্থী দের বিক্ষোভ সমাবেশ।
২৫ আগষ্ট রবিবার বেলা ১২ টায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বাংলা হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছ, দুর্নীতি কারীর কলো হাত ভেঙ্গে দাও পুড়িয়ে দাও,এক দুই তিন চার প্রধান শিক্ষক গদি ছাড় বলে স্লোগান দেয়। সমাবেশে নবম শ্রেণীর ছাত্রী রূপকথা বলেন, প্রধান শিক্ষক মসজিদ, মন্দির এর উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাঁদা উঠান কেউ এই চাঁদা না দেয় তা হলে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে একটি কোচিং চালু করেছেন যদি কোন শিক্ষার্থী কোচিং পড়তে না চায তাহলে তাকে পরীক্ষার নাম্বার কম দেওয়া এবং প্র্যাকটিক্যালে নাম্বার না দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের চেহারা এবং বডি নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কথা বলেন। তিনি আরো বলেন তাদের ব্যবহারিক ক্লাস কখনো হয় না এবং কম্পিউটার ক্লাসে কম্পিউটার টিচার ক্লাস নিতে আসেন না ।

মোহাম্মদ আমির হামজা উক্ত বিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছি এর ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের অনেক দুর্নীতির তথ্য প্রমান সংগ্রহ করেছি। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ আদায় করেন। গত ২০২১ সালের এসএসসি পূরণে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১২টি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি নেয়া হয় কিন্তু তিনটি পরীক্ষা গ্রহণের পর বাকী বিষয়ে আর পরীক্ষা না হওয়ার কারনে সরকার অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ছাড়াও স্কুলে ভর্তি এবং বিভিন্ন পরীক্ষার সময়ে অতিরক্ত উন্নয়ন ফি এর নামে টাকা নিয়ে কোন উন্নয়ন না করার অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের অভিযোগ গুলি শোনেন এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং এখন থেকে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাহেব কর্ম বিরতি থাকবেন বলে শিক্ষার্থীদের জানান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষটি টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায় এবং তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে একাধিক বার বার কল দিলে তার ব্যবহারিত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন