রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙ্গায় পানিবন্দি পরিবারদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙ্গায় পানিবন্দি পরিবারদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
হুহু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। বৃদ্ধি পানিতে তিস্তা অববাহিকায় রাজারহাট উপজেলার উত্তর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিবন্দি হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার।
সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন, নিশির নিরাপদস্থানে বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। সময় যত যাচ্ছে পানি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে বন্যার পরিস্থিতি হচ্ছে আরও ভয়াবহ। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়িসহ ধান,মরিচ ও বাদামের ফসল জমি। বাড়ীতে হচ্ছেনা রান্না, ভরসা শুকনো খাবারে। বন্যার কবলে পড়ছে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁর বড়দরগা,গতিয়াশম,বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি,কালীর মেলা,মৌলভি পাড়া,গাবুর হেলান, তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম দুপুরে খিতাবখাঁ মৌজায় ৪শত পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন। শুকনো খাবার প্রতি প্যাকেটে রয়েছে, চিড়ামুড়ি,খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও গ্যাসলাইট।বিতরণকালে তিনি বলেন, পানিবন্দি পরিবারের জন্য দুই মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান,উপজেলা বিআরডিপি কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার,উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল হক,ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি সদস্য,সাদেকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে বলে জানান।