হু হু করে বাড়ছে পানি লালমনিরহাটে তিস্তায় বড় ধরনের বন্যার আশংকা


লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ হু হু করে বাড়ছে পানি। লালমনিরহাটের তিস্তায় বড় ধরনের বন্যার আশংকা।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে তিস্তা পাড়ের মানুষজন বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছে এবং যে কোনো সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতংকে পড়েছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও গোর্বধন এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।
এদিকে সোমবার ২ জুন
সন্ধ্যা ৬ টায় বন্যা পূর্বাভাসের তথ্যে জানা যায়,
তিস্তা নদীঃ
(১) ডালিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল৫১.৬৮ মিটার
(বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৪৭ সে.মি নিচে ।
( ২)কাউনিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ২৮.৯৫ মিটার
(বিপদসীমা = ২৯.৩০ মিটার)
যা বিপদসীমার ৩৫ সে.মি নিচে।
ধরলা নদীঃ
(১) শিমুলবাড়ি পয়েন্ট –
পানি সমতল ২৮.৯৫ মিটার,
(বিপদসীমা = ৩০.৮৭ মিটার)
যা বিপদসীমার ১৯২ সে.মি নিচে।
(২) পাটগ্রাম পয়েন্ট –
পানি সমতল ৫৬.৬০ মিটার ,
(বিপদসীমা = ৬০.৩৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৩৭৫ সে.মি নিচে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, উজানে ভারতের সিকিম ও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তিস্তার পানি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে আছে। তবুও আমরা সতর্কে আছি।