ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেই মাইক্রোবাসের চালক’
সিলেট সংবাদদাতা: সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া সেই মাইক্রোবাসের চালক দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালিয়ে আসায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ ডান দিকে মোড় ঘোরাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে সাতজন নিহত হন। সাত দিন আগে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
ওই দুর্ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ কয়েকজন বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর আগে দুর্ঘটনার দিন তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেউ ছিলেন না।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের ভাষ্য, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা উভয়ের চালকই মারা গেছেন। যাত্রীরাও নিহত হয়েছেন। তাঁদের স্বজনদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে আসেননি। তবে দুর্ঘটনাকবলিত দুটি যান উদ্ধার এবং হতাহতের ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মহাসড়ক দিয়ে সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জগামী মাইক্রোবাসের চালক দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালিয়ে আসায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে। মাইক্রোবাসের চালক হঠাৎ ডান দিকে মোড় ঘোরাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা সড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। এতে সাতজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুটি যানেরই চালক ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার দুপুরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সড়কটির বিভিন্ন অংশের মাপজোখ করেছেন। তদন্ত কমিটির সদস্য সিলেট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, পুলিশের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট গোয়াইনঘাটের ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুটি যানের চালক থাকায় কোনো পক্ষই আর মামলায় আগ্রহী হয়নি।