বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সিলেটে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী

সিলেটে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী

 

সিলেট সংবাদদাতা ঃ
সিলেট শহরের পর এবার গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুরোগী। প্রতিদিন শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গুরোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে আরো ১৫ ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মওসুমে সিলেট বিভাগে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৩ জনে। এরমধ্যে চলতি আগস্ট মাসের ৪ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭ জন। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ জন।

এছাড়া গেল জুলাই মাসে বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮২ জন। জুলাইয়ে দৈনিক গড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ জন। এদিকে চলতি মওসুমের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত বিভাগে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৬৩ জন। এরমধ্যে জানুয়ারীতে ৩ জন, এপ্রিলে ১ জন, মে মাসে ১ জন ও জুন মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগী কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৩, সুনামগঞ্জের ১, মৌলভীবাজারের ৩ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আরো ৮ জন রয়েছেন।

শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৩ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এরমধ্যে সিলেটে ১৭, সুনামগঞ্জে ২, হবিগঞ্জে ৮৪, মৌলভীবাজারে ৭ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন ২৩ জন। চলতি মওসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫১৩ জন রোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ১২২, সুনামগঞ্জ জেলার ২৮, হবিগঞ্জের ১৮৪, মৌলভীবাজারের ৩৩ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছেন ১৪৬ জন। শুক্রবার পর্যন্ত বিভাগে ৩৮০ জন ডেঙ্গুরোগী সুস্থত হয়েছেন।

এদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এরই মধ্যে এডিস মশা নির্মূলে প্রতিদিনই নগরজুড়ে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এডিস মশার লার্ভা পাওয়া স্থানের মালিককে করা হচ্ছে জরিমানা। সম্প্রতি প্রায় সব অভিযানেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেটে ডেঙ্গুরোগী বাড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। এই মুহুর্তে ডেঙ্গুর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন টেকানো জরুরী হয়ে পড়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সকল নাগরিককে সচেতন হতে হবে। বাসা-বাড়ীর আঙ্গিনা পরিস্কার রাখতে হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন