শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসে’র  (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার (৩০ আগস্ট) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। এই ফেসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আজ বুধবার খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিসিএমসিএল এর ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ আছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুৎ সচল রাখা সম্ভব হবে।

এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তাপ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ওভার হোলিং এর কারণে দুই নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে আছে এবং কয়লা স্বল্পতার কারণে ২০১৯ সাল থেকে এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের ২৭৫ মেগা ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব। তবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু রাখতে গেলে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, মজুদ শেষ হওয়ায় ওই ফেইস এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আবারও উৎপাদন স্বাভাবিক হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট কয়লা মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন