বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা : সেনাপ্রধান
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে ‘সেনা নীড়’ নামে বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যদের জন্য ১১২টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ১৫ তলা পারিবারিক বাসস্থান উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন সেনা প্রধান। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি সেনানীড় উদ্বোধনের পাশাপাশি শেখ হাসিনা সেনানিবাসে গ্যারিসন কেন্দ্রীয় মসজিদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উদ্বোধনও করেন।
দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেনা প্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জাতীয় যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সদা প্রস্তুত। সেনানিবাসে এই স্থাপনাগুলো তৈরির মাধ্যমে বসবাসকারীদের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক আরামদায়ক হবে; আপনাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। উঁচু মনোবল থাকলে তখনই আপনার সঠিক প্রশিক্ষণ করতে পারবেন; আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো দেশ সেবা করা, বহিঃশত্রু থেকে এ দেশকে রক্ষা করা। আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে আমাদের সবসময় কাজ করতে হবে। কষ্ট করার জন্যই আমরা সেনাবাহিনীর এই জীবন বেছে নিয়েছি। এটা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এটাকে আমরা নিজে নিজেই পছন্দ করেছি এবং ভালোবেসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ যদি আজ স্বাধীন না হতো, এর অনেক উন্নয়নই হতো না। এটা আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, যাদের জীবনের সুবর্ণ সময়টা আমাদের জন্য আত্মত্যাগ করে গেছেন, তাদেরকে ভুললে চলবে না। গুণীর গুণগান না গাইলে গুণী তৈরি হয় না। যারা আমাদের জন্য আত্মত্যাগ করেছে, সেইসমস্ত বীরদের কথা স্মরণ করতে হবে, তাদের প্রশংসা করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতের প্রজন্ম প্রয়োজনবোধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করতে পিছু পা নয়।
অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশাল এরিয়া, সেনাসদর ও বরিশাল এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।