শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন স্বামী
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী। শুধু বলিউড নয়, চুটিয়ে কাজ করেন দক্ষিণী সিনেমাতেও। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়। তাঁর হঠাৎ মৃত্যু সবার কাছে বিস্ময়ের ছিল।
কারণ, তাঁর কোনো রোগের কথা শোনা যায়নি। পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন।
শ্রীদেবীর মৃত্যুর পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এত দিন কোনো কথা বলা হয়নি। সম্প্রতি শ্রীদেবীর স্বামী চিত্রনির্মাতা বনি কাপুর এই অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর জানান, দুবাইয়ের একটি হোটেলের শৌচাগারের বাথটাবে শ্রীদেবীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
বনি সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবীর মৃত্যু সম্পর্কে বলেন, ‘নিজেকে স্লিম রাখার পাগলামি ভর করেছিল তার মাথায়। সে সব সময় চাইত নিজেকে সুন্দর দেখাতে আর নিজেকে শেপে রাখতে। আর তাই অনেক সময় নিজেকে সে ক্ষুধার্ত রাখত। অনেক সময় ডায়েট করত। এমনকি নুন পর্যন্ত খেত না। আমার সঙ্গে যখন বিয়ে হয়েছিল, তখন থেকে দেখেছি যে তার ব্ল্যাকআউটের সমস্যা আছে। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যে তার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে। আর তাই চিকিৎসক তাকে নুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন সালাদের ওপর নুন ছিটিয়ে খেতে। কিন্তু সে কারও কথা কানে তুলত না। ’
তাঁর কথায়, ‘এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না, একটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ছিল। আমি এ ব্যাপারে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, তখন তদন্ত চলছিল। আর আমাকে নানান জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা তদন্তে জানতে পেরেছিল, এর মধ্যে কোনো চক্রান্ত নেই। আমি নানান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম তখন। তার মধ্যে লাই ডিটেক্টর টেস্ট, আরও অনেক কিছু ছিল। রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছিল যে এটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ছিল। ’
বনি কাপুর আরও এক নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শ্রী-র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় তার সহ-অভিনেতা নাগার্জুন এসেছিলেন। তখন তিনি একটি ঘটনা আমার সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। নাগার্জুন বলেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে একটি সিনেমা করাকালীন সময়ে শ্রী ডায়েটে ছিল। আর তখন শ্রী বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল, আর তার দাঁত ভেঙে গিয়েছিল বলে নাগার্জুন আমায় জানিয়েছিলেন। তার নিয়তিতে হয়তো এটাই লেখা ছিল। সে কখনো এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। আর কখনো সে ভাবেনি যে এর পরিণাম এতটা ভয়ংকর হতে পারে।