স্কুলে ভর্তির আবেদন যে কারণে বাতিল হতে পারে
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বর মাসে সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন।
আবেদন চলবে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে লটারির মাধ্যমে।
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বর্তমান সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রত্যেক শ্রেণিতে সহোদর কোটায় ৫ শতাংশ থাকলেও নতুন নীতিমালায় তা শুধু প্রথম শ্রেণিতে এ কোটা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ভাই-বোনের কোটায় শুধু প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে হতে পারবে। অন্যান্য শ্রেণিতে এ কোটা প্রযোজ্য হবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন জানান, এক সময় সহোদর কোটা ছিল অনির্ধারিত। ভাই-বোনের মধ্যে যে কেউ একটি স্কুলে ভর্তি হলে পরের জন সহোদর কোটায় অটো ভর্তি হতো। গত বছর সেটা ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এবার শুধু প্রথম শ্রেণিতে ৫ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।
লটারিতে ভর্তি কাযক্রম শুরুর হওয়ার পর কিছু অভিভাবক সন্তানের ভর্তি নিশ্চিত করতে নানা ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধনের নাম এদিক-ওদিক করেন, জন্ম সনদের নম্বর ভিন্ন করে একই স্কুলে একাধিক আবেদন করেন। এটা জানাজানি হওয়ার পর গত বছর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা দেয়া হয়, ভর্তির সময় শিক্ষার্থীর জন্ম সনদ নাম্বার, নাম এসব বিষয় ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইনে যাচাই করে ভর্তি করাতে হবে।
এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কোনো অভিভাবক একই জন্ম সনদকে এদিক-ওদিক করে আবেদন করলে পুরো আবেদনই বাতিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তার বাচ্চা আর এই স্কুলের ভর্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে।
প্রফেসর বেলাল হোসাইন বলেন, গত বছর কয়েক জনকে ধরার পর এবার নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছি। আবেদনের ফরমে মিথ্যা তথ্য ও এডিট করলে সব আবেদন বাতিল করা হবে।
এবারও ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। এ বছর বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।