শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ম্যাচের আগে পিচের ঘাস কাটিয়েছেন রোহিতরা

ম্যাচের আগে পিচের ঘাস কাটিয়েছেন রোহিতরা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয়েছে পিচ বিতর্ক। ইতোমধ্যে আগেই নির্ধারিত পিচ পরিবর্তন করে ভারতকে সুবিধা দিতে আলাদা ২২ গজ বাছাইয়ের অভিযোগ তুলেছে একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। এবার জোর করে রোহিত শর্মারা ওই পিচের ঘাস কাটিয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। আর ঘাস কাটার কারণে পিচ কিছুটা স্লো বা মন্থর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে অধিক সহায়তা পেতে পারেন স্পিনাররা

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের ৯টি আলাদা স্টেডিয়ামের পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতীয় দল দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছিল। ব্যাটিং পিচেও ভারতীয় বোলাররা উইকেট তোলেন ধারাবাহিকভাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রোহিত শর্মারা তুলনায় স্লো পিচে ভালো ক্রিকেট খেলেছেন বলেই টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ গিয়েছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কিউরেটরের কাছে। তা মেনে মন্থর উইকেট বানানো হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলেছিল ভারত। এরপর রোহিত-কোহলিরা মুম্বাইয়ে পৌঁছানোর আগেই বিশেষ বার্তা পাঠানো হয় মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (এমসিএ)। যা নিয়ে এমসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণি পিচ নয়, তবে ভারতীয় দল তুলনামূলক স্লো পিচ চেয়েছে। সেই কারণেই আমরা পিচ থেকে ঘাস ছেঁটে ফেলেছি।’ এর আগেও চলতি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ হয়েছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। যেখানে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচই বড় রান দেখেছিল। তবে পরে ব্যাট করা দুদলকেই ভুগতে দেখা যায় এখানে। দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত যথাক্রমে রান তুলেছিল ৩৯৯ এবং ৩৫৭ রান। পরে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে মোটে ১৭০ ও ৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। সে হিসেবে স্পিন উইকেটে খেললে পরে ব্যাট করা দলকে আরও ভুগতে হতে পারে। এছাড়া ভারতীয় স্পিনারদের সামনে আগে ব্যাট করেও দিতে হতে পারে কঠিন পরীক্ষা! সেমিফাইনাল খেলতে ভারতীয় দল মুম্বাইয়ে পা দেওয়া মাত্রই প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় বিমানবন্দর থেকে সোজা ওয়াংখেড়েতে চলে যান। তার সঙ্গে ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ পরেশ মামব্রে ও ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। দুই সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রাবিড় সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ওয়াংখেড়ের বাইশগজ। কিউরেটরদের সঙ্গে দ্রাবিড়দের দীর্ঘ সময় আলোচনাও করতে দেখা যায়। পরে মঙ্গলবার অনুশীলন করতে ওয়াংখেড়েতে পৌঁছানো মাত্রই অধিনায়ক রোহিত শর্মাও রীতিমতো হামাগুড়ি দিয়ে পিচ পরীক্ষা করে চরিত্র আঁচ করার চেষ্টা করেন। সোমবার দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল বাইশগজে সবুজ ঘাসের হালকা আস্তরণ রয়েছে। মঙ্গলবার লাল মাটির পিচে ঘাসের আস্তরণ সরতেই অনাবৃত মাঠ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনের দাবি, ভারতীয় স্পিনারদের সুবিধা দিতে আলাদা পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে। আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের সঙ্গে বিসিসিআই একটি সম্মতিতে পৌঁছেছিল যে– ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালের জন্য আজ অব্যবহৃত একটি পিচ দেওয়া হবে। কিন্তু সেই পিচের পরিবর্তে ইতোমধ্যে চলতি টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া ২২ গজকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেমিফাইনাল জিতে ভারত ফাইনালে উঠতে পারলে ‘তারা একই কাজ করবে।’

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন