বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বগুড়ার নন্দীগ্রামে হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ

 

জিল্লুর, রয়েল নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঠ এখন হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। অপরূপ রূপে সেজেছে নন্দীগ্রামের গ্রামীণ জনপদের মাঠ। সকাল-বিকালের মিষ্টি সোনা রোদে আরও চকচক করছে হলুদের বিস্তর খেত। সরিষা খেতের এক ফুল থেকে আরেক ফুলে উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির দল।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী নন্দীগ্রামের একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। উপজেলাজুড়ে উচ্চফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২০, বিনা ৯, ১১সহ বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে সরিষা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু দিন আগের বৃষ্টিতে কোন কোন সরিষা খেতের উপকার হয়েছে। আবার কোন কোন সরিষা খেতের ক্ষতিও হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমান খুব কম। যে আবাদগুলো পরে ও নিচু জমিতে করা হয়েছে তাদের খেতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটুয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত কুমার শান্ত বলেন, সরিষা চাষ লাভজনক। সরিষা খেতে তেমন কোন রোগবালাই হয় না। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা হয়। সার ওষুধ আনুসাঙ্গিক খরচ মিলে প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমি থেকে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করা যায়। তিনি আরো বলেল, আমি ৭৫ বিঘা জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষা বুনেছি। প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ বিঘা জমিতে সরিষা বুনি।

উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দোহার গ্রামের কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে সরিষা বুনেছি। আমার সরিষা আগে লাগানো। গাছের ফুল ঝড়ে ফলে পরিনত হয়েছে। আবাদ ভালই আছে। সরিষার জমিতে ইরি ধান লাগালে সার কম লাগে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, রবি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫১৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন