বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

আবু বকর রা. খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পর যা বলেছিলেন

আবু বকর রা. খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পর যা বলেছিলেন

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :  ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ৫৭৩ সালে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবু কুহাফা ও মায়ের নাম সালমা বিনতে সাখার। শৈশবকাল থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্কও ছিল। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্বশুর ছিলেন। তার মেয়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মীনী ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়তপ্রাপ্ত হওয়ার পর বয়স্ক স্বাধীন পুরুষদের মধ্য সর্বপ্রথম তিনিই ইসলাম গ্রহণ করেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরর ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ জুগিয়েছে। আবু বকর রা. খলিফা নির্বাচিত হলেন যেভাবে  খলিফা আবু বকর (রা.) ও আলী (রা.)-এর সম্পর্ক কেমন ছিল? ইসলামের ৪ খলিফা সম্পর্কে জেনে নিন জনসাধারণের প্রতি যে ১০ উপদেশ দিয়েছেন আবু বকর রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর সমবেত মুহাজির ও আনসারদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন- ‘আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই আমাকে খলিফা নিযু্ক্ত করা হয়েছে। আল্লাহর কসম, আমি চাচ্ছিলাম, তোমাদের ম্ধ্য থেকে অন্য কেউ এ দায়িত্ব গ্রহণ করুক। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনারা যদি চান আমার আচরণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণের মতো হোক তাহলে আমাকে সেই পর্যায়ে পৌঁছার ব্যাপারে অক্ষম মনে করবেন। তিনি ছিলেন নবী। ভুলত্রুটি থেকে ছিলেন পবিত্র। তার মতো আমার কোনো বিশেষ মর্যাদা নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আপনাদের কোনো একজন সাধারণ ব্যক্তি থেকেও উত্তম হওয়ার দাবি আমি করতে পারি না।…আপনারা যদি দেখেন আমি সঠিক কাজ করছি আমাকে সহায়তা করবেন। যদি দেখেন আমি বিপথগামী হচ্ছি, আমাকে সতর্ক করে দেবে।  আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর সেই সংক্ষিপ্ত নীতিনির্ধারণী প্রথম ভাষণটি চিরকাল বিশ্বের সব রাষ্ট্রনায়কদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন