শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

৬১-তে পা রাখা ‘বিন্দাস’ অভিনেতা জগপতি বাবু

৬১-তে পা রাখা ‘বিন্দাস’ অভিনেতা জগপতি বাবু

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :বিন্দাস। হ্যাঁ, ঠিক এই শব্দটিই তিনি ব্যবহার করেন নিজের জীবন সম্পর্কে। শুধু ব্যবহারই করেন না, যাপনও করেন। সম্প্রতি ৬১-তে পা রাখা এই ব্যক্তি আর কেউ নন, দক্ষিণী সিনেমার এক অন্য ধাঁচের অভিনেতা জগপতি বাবু। যদিও এটা তার পেশা নাম, তবু এ নামেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ‘বিন্দাস’ অভিনেতা। সিনেমা তার রক্তে। কেননা তিনি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী বিখ্যাত তেলুগু সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রাজেন্দ্র প্রসাদের সন্তান। যদিও তার প্রথম ছবির প্রযোজক তার বাবা, তবুও বাবার ছায়ার নিচে থাকতে চাননি তিনি। প্রতিনিয়ত নিজেকে অধিকতর পরিপক্ব করেছেন, বেরিয়ে এসেছেন বাবার ছাতার নিচ থেকে। মূলত খল চরিত্রেই দেখা যায় তাকে। এবং এ কথা শঙ্কাহীনভাবে বলা যায় দক্ষিণী সিনেমার খল চরিত্রে রূপদানকারীদের যেকোনো র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা তিনে থাকেন তিনি। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সিনে-ট্যাবলয়েডের সঙ্গে আলাপে বসেন এই সুদর্শন ভিলেন জগপতি বাবু ওরফে ‘জা¹ু’। বলেন, যার যতটুকু আছে, যা আছে তাই নিয়েই জীবনকে যাপন করতে হবে। আনন্দ নিয়ে বাঁচতে হবে, মরতেও হবে আনন্দ নিয়ে। মৃত্যু অনিশ্চিত (কখন হবে তা নিশ্চিত নয় অর্থে), তাই যতটুকু বাঁচো সুন্দর বাঁচো। একবার সুন্দর করে বাঁচার চেষ্টা করে দেখ জীবন তোমাকে দুহাত ভরে দেবে। আনন্দ নিয়ে বাঁচো। তোমার কাছে যতটুকু আছে তা ভাগ করে নাও অন্যদের সঙ্গে। ১৯৮৯ সালে তেলুগু সিনেমা ‘সিনহা সম্পম’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। তবে তার প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল সিনেমা ছিল ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেড্ডারিকম’। তাকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন প্রখ্যাত পরিচালক রাম গোপাল ভার্মা ১৯৯৩ সালে ‘গায়াম’ ছবির মাধ্যমে। তবে সর্বজনের মন তিনি জয় করে নেন ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শুভলগ্ন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘মানুষ অনেক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যায়’ বলেন জগপতি। ‘আমার বাবা একজন প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এই সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সাফল্য পাওয়ার আগে দিনের পর দিন আমি কেঁদেছি। আমার চোখের জলে জামার আস্তিন ভিজে গেছে। তবে আমি বিশ্বাস করতাম আমি একদিন সফল হব। দেখুন, আমি সফল হয়েছি। এবং আমি বিশ্বাস করি, আপনি যদি পরিশ্রম করেন তাহলে সাফল্য আপনার হাতে আসবেই।’ ‘আমি সব সময় আমার দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে চেয়েছি। আমি জানি, এটাই আমার টিকে থাকার একমাত্র পথ। আমি কখনোই আত্মতৃপ্তিতে ভুগিনি। আমি জানি, জীবন একদিন ফুরিয়ে যাবে এবং আমার দর্শকপ্রিয়তাই আমার জীবনের একমাত্র মূলধন। জীবন আমার কাছে একটি আনন্দোৎসব, এটা কোনো উদ্দীপনা নয়। আমার কাছে জীবন খুব সাধারণ এবং আমি জীবনে আসা প্রতিটা মুহূর্তকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে চেয়েছি। জীবনের প্রতি কোনো অভিযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে এই সুপারস্টার বলেন, আমি অভিযোগকারীদের দলে নই। আমার কাছে জীবন বিন্দাস। নিজে বিন্দাস থাক, অন্যকে বিন্দাস রাখ। আমি ভালো থাকলে জীবনও আমার প্রতি সদয় হবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিনেমা করে যেতে চান চারবার ফিল্মফেয়ার জেতা এই মহাতারকা। বললেন, আমি চাই কাজ যেন কখনো আমাকে ক্লান্ত না করে। মানুষ কদিন বাঁচে! আমি সম্ভবত আমার জীবনের শেষ দশকে পা রেখেছি। আমি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। যদি কোনো দুর্ঘটনায় না পড়ি বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত না হই তাহলে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অভিনয় করতে চাই। আমার ইচ্ছা চিত্রনাট্য পড়তে পড়তেই শেষ ঘুমে হারিয়ে যাব।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন