অভিষেক সুখকর হলো না লিটনের
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : অপেক্ষা ফুরাল লিটনের, তবে জয় পাওয়া হলো না কলকাতার। বৃহ্স্পতিবার আইপিএলে লিটনের অভিষেকের দিনে দিল্লির কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে নাইট রাইডার্সরা। সুবাদে আসরে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল দিল্লি ক্যাপিটালস।
কলকাতার উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসবে তা জানাই ছিল্ তবে লিটন দাসকে খেলাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ও ছিল। তবে সেই সংশয় দূর হয়েছে, দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে কলকাতার জার্সি গায়ে লিটনের দেখা মেলেছে। সপ্তম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল অভিষেক হয়েছে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের।
একাদশে সুযোগ মিললেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি লিটন, পারেননি নিজের জাত চেনাতে। যদিও নিজের খেলা প্রথম বলে ইশান্ত শর্মাকে চার হাঁকিয়ে সুন্দর শুরুর আভাস দিয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত সেই ৪ রান নিয়েই নিজের খেলা চতুর্থ বলে মুকেশ কুমারের শিকার হয়ে ফিরেছেন লিটন।
লিটনের ব্যর্থতার দিনে ব্যর্থ ছিলেন কলকাতার বাকি ব্যাটাররাও। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেল তিন ছক্কা হাঁকিয়েও দলের সংগ্রহ বেশীদূর নিতে পারেননি, ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হবার আগে ১২৭ রান করে কলকাতা। রাসেল অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৮ রানে, সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন জেসন রয়।
এছাড়া ১২ রান আসে মানদীপ সিংয়ের ব্যাটে। তাদের ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। পৌঁছাতে দেয়নি দিল্লির বোলাররা৷ মোস্তাফিজকে ছাড়াই বেশ দাপুটে পারফর্ম করেছেন তারা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত, এনরিক নরকিয়া, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব। একটি উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার।
১২৮ রানে মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ ভালোই শুরু পেয়েছিল দিল্লি। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। পৃথ্বী ১৩ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর দ্রুত মিচেল মার্শ (২) ও ফিল সল্ট (৫) ফিরে গেলে বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ওয়ার্নার।
দলীয় ১৩.১ ওভারে ৯৩ রানের মাথায় আউট হন ওয়ার্নার৷ তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৫৭ রান।মানিষ পান্ডে ২১ রান করলেও দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। আর আমান খান আউট হন শূন্য রানে। তবে অক্ষর ও ললিত মিলে দিল্লিকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। অক্ষর ১৯ ও ললিত ৪ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
যদিও জয় পেতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে দিল্লিকে। কলকাতার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন নীতিশ রানা, অনুকূল রায় ও বরুণ চক্রবর্তী।